মো: মিরাজুল ইসলাম, খুবি প্রতিনিধি :
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'নেটওয়ার্ক এগেইনস্ট ভায়োলেন্স' (ন্যাভ) উদ্যোগে সহিংসতা, পরিচয় নির্মাণ এবং ক্রান্তিকালীন ইনসাফের সন্ধানে শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) বিকাল ৪.০০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা নাটমণ্ডপে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক সহুল আহমদ।
আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ডিসিপ্লিনের শিক্ষক ড. ইমরান কামাল। সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের শিক্ষক ও ন্যাভের আহ্বায়ক আবুল বাশার নাহিদ।
সভায় বক্তারা সহিংসতার সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতা, পরিচয়ের সংকট এবং ন্যায়বিচারের সন্ধান নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। প্রবন্ধকার সহুল আহমদ তাঁর উপস্থাপনায় সমকালীন সমাজের সহিংস বাস্তবতা এবং তার সঙ্গে পরিচয় নির্মাণের জটিল সম্পর্ক বিশ্লেষণ করেন। আলোচক ড. ইমরান কামাল সমাজবিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টির গভীরে প্রবেশ করে মতামত দেন।
বাংলাদেশে চলমান সহিংসতা, সংকটাবস্থা সম্পর্কে আবুল বাশার নাহিদ জানান, সহিংসতা শুধুমাত্র শারীরিক আঘাত বা প্রাণঘাতী হামলার মাধ্যমে সীমাবদ্ধ নয়। এটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক, এবং মানসিক ক্ষেত্রেও বিস্তৃত। সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে সহিংসতা সাধারণত সেই অস্থির পরিস্থিতির সৃষ্টি করে, যেখানে মানুষ একে অপরের প্রতি শত্রুতা, হিংসা, এবং অবিশ্বাসের মধ্যে আটকে যায়।
তিনি বিখ্যাত ব্যক্তিদের উদ্ধৃতি দিয়ে আরো বলেন, "সহিংসতা তখনই হয়, যখন ন্যায়বিচারের বোধ মরে যায় এবং মানুষের মনের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হয়।"এই বিভাজন সহিংসতার মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের সমাজে রাজনৈতিক সহিংসতার সাথে নানা কাঠামোগত সহিংসতা আছে। উপনিবেশ উত্তর রাষ্ট্রে নানা কারণে সহিংসতা ঘটে থাকে। আমাদের উচিৎ এই ধরণের সহিংসতা থেকে কিভাবে মুক্তি পেতে পারি তার পথ খুঁজে বের করা।
আলোচনা সভায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন। তারা মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে সহিংসতা ও ইনসাফের ধারণা নিয়ে নিজেদের মতামত বিনিময় করেন।
এ ধরনের আয়োজন ভবিষ্যতেও সমাজ, সংস্কৃতি ও ন্যায়বিচারের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এমআই