নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে আনতে আরও দুই থেকে তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘রোজার সময় একটা মেজর পরিকল্পনা নেব। সেটার ফলটা এপ্রিল-মে মাসের দিকে পাওয়া যাবে। আজকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন যে পদক্ষেপগুলো নেব, সেটার ফল আসবে এপ্রিলে।’
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা।
বাড়তি মূল্যস্ফীতিতে মানুষ সমস্যায় রয়েছে এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই মন্তব্য করে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, মূল্যস্ফীতির কারণ কেবলমাত্র অর্থনৈতিক নয়।
তিনি বলেন, আমাদের মূল্যস্ফীতির দিকে মূল মনোযোগ আছে। যতটুকু সম্ভব যত তাড়াতাড়ি মূল্যস্ফীতিটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারি। এখন আমরা যে উদ্যোগটা নেব সেটার প্রভাব বাজারে দেখতে পারবেন। জুন মাসের দিকে যেটাকে আপনার আইডিয়াল সিচুয়েশন বলছেন, ৬ কিংবা ৭ শতাংশের দিকে যেতে পারে। আমার পক্ষ থেকে বলছি যে, মার্চের দিকে কতগুলো স্পেসিফিক কতগুলো অ্যাকশন দেখবেন। বিশেষ করে আর্থিক খাতকে সামনে রেখে।”
আমদানির ফলসহ বিভিন্ন পণ্য ও সেবায় গত মাসে ভ্যাট বাড়িয়েছে সরকার। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার থেকে ফল খালাস বন্ধ রেখেছেন আমদানিকারকরা। এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “আমি ফিল করি। কিন্তু ব্যবসায়ীরা অনেক ম্যাগনিফাই করে বলে। যখন বাজেট তৈরি করব, তখন ভ্যাট নিয়ে একটা কমপ্রিহেনসিভ ব্যবস্থা নেব। এখন তো এসআরও জারি করে ভ্যাটটা করছি।
“মূল উদ্দেশ্য ছিল এক্সামশন থেকে বেরিয়ে আসা। বহুলোক দিনের পর দিন বহুরকম এক্সামশন ভোগ করছিল। এরমধ্যে হয়তো দুই একটা পণ্য আক্রান্ত হয়েছে। সেটা আমরা চেষ্টা করব যথাসম্ভব লাঘব করার।”
চাল-ডালের মতো অতি প্রয়োজনীয় জিনিসের সরবরাহ কখনোই কমতে দেবেন না বলেও জানান সালেহউদ্দিন আহমেদ।
এমআই