শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বহিরাগতদের নিয়মিত চলাচল হাবিপ্রবির পরিবহন বাসে, শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ

বুধবার, ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২৫
বহিরাগতদের নিয়মিত চলাচল হাবিপ্রবির পরিবহন বাসে, শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ

মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন:

দিনাজপুরের স্থানীয় একটি কলেজের অনার্স পড়ুয়া এক মেয়ে শিক্ষার্থী কলেজ মোর হতে উঠেছেন হাবিপ্রবির শিক্ষার্থী পরিবহন বাসে। দেখে বোঝার উপায় নেই তিনি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। হাবিপ্রবির অন্যান্য শিক্ষার্থীর মতোই তিনি স্বাভাবিকভাবে বসে আছেন। বহিরাগতদের শনাক্ত করতে সেদিন বাসটিতে পরিবহন শাখার এক কর্মচারি উঠে সব শিক্ষার্থীর পরিচয় জানতে চাইলে এক পর্যায়ে ধরা পড়েন তিনি। পরবর্তীতে এসব পরিবহন বাস ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয় তাকে।

শিক্ষার্থী পরিবহন বাসে বসার আসন না পেয়ে বেশিরভাগ সময় চাপাচাপি করে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের। অথচ আসন সুবিধা নিয়ে এসব পরিবহনে নিয়মিত যাতায়াত করতে দেখা যায় বহিরাগত দের। এতে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি বহিরাগতদের আনাগোনাও বেড়েছে ক্যাম্পাস টিতে। 

প্রত্যক্ষদর্শী হাবিপ্রবির এক শিক্ষার্থী বলেন, "কয়েকদিন আগে এক স্কুল পড়ুয়া ছাত্র রাণীগঞ্জের কাছাকাছি এসে বাস চালককে নামিয়ে দেওয়ার জন্য বললে চালক প্রথমে রাগারাগি করলেও নামিয়ে দিতে হয়েছে শেষ পর্যন্ত। এরকম মাঝেমধ্যেই হয়ে থাকে। এ বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নজরে এনে নিয়মিত চেকিং ব্যবস্থা জোরদার করা উচিত।"

বাস চালক- হেলপারেরা বলেন, "অল্প কিছু শিক্ষার্থী নিয়মিত যাতায়াত করে,তাদের চিনি। বাকিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাকি বাইরের তা বোঝা যায় না। তবে আমরাও খেয়াল রাখি যেন বহিরাগত কেউ বাসে না উঠতে পারে।"

স্কুল এবং কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে এমন প্রবণতা বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে মির্জাপুর টার্মিনাল, কলেজ মোর, গোপালগঞ্জ, রাণীগঞ্জ, ৫ মাইল- সুবরা এবং চাঁদগঞ্জ এলাকার শিক্ষার্থীরা প্রায়ই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ব্যবহার করে। 

রসায়ন-২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাদমান ওয়াজেদ শুভ জানান, "সিনিয়র জুনিয়র চেইন মেইনটেইন না থাকায় বেশিরভাগ মুখগুলো অপরিচিত মনে হয়। এই সুযোগটাই বাইরের মানুষেরা নিচ্ছে। আর বহিরাগতরা এমনভাবে সিটে বসে থাকে যে দেখে বোঝার উপায় থাকে না সে ক্যাম্পাসের নাকি বাইরের। শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ডের ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে অনেকাংশেই এ ধরণের সমস্যার সমাধান হবে।"

পরিবহন ও যন্ত্র মেরামত শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, "অনেক আগে থেকেই এরকম হয়ে আসছে। এ ধরণের সমস্যা সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। পরিবহন শাখাও নিয়মিত নজরে রাখবে বিষয়টি।"

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ১০ টি বাস নিয়মিতভাবে শিক্ষার্থীদের পরিবহন সেবা অব্যাহত রেখেছে। সেগুলোতে বহিরাগতদের উপস্থিতি কম হলেও বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন পুলে দ্বিতল বাস যুক্ত হওয়ার পর এ ধরণের প্রবণতা পূর্বের চেয়ে কয়েক গুণ বেড়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. শামসুজ্জোহা বলেন, "এ ধরণের অভিযোগ প্রায়ই পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে"।

এমআই


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৫ সময় জার্নাল