জেলা প্রতিনিধি:
ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী একটি বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানীর ঘটনার তিন দিন পর টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় মামলা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা এই মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত আট থেকে নয়জনকে।
ডাকাতির শিকার ওই বাসের ওমর আলী নামের এক যাত্রী শুক্রবার সকালে বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তিনি নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বাসিন্দা।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশাররফ হোসেন মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত সোমবার দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলসের’ বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
গণমাধ্যমে দেওয়া যাত্রীদের বর্ণনামতে, সোমবার রাত ১১টার দিকে ঢাকার গাবতলী থেকে বাসটি ছেড়ে আসে। সাড়ে ১২টার দিকে ডাকাতেরা অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে। পরে তারা কয়েকজনকে জখম করে ডাকাতি শুরু করে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বাসটি বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানি শেষে বাস থামিয়ে তারা নেমে যায়।
যাত্রীদের অভিযোগ, এরপর বাসের চালক, তার সহকারী ও সুপারভাইজার নানান টালবাহানা করতে থাকে। তারা বলেন, গাড়িতে তেল নেই। অবশেষে যাত্রীদের চাপের মুখে পড়ে তারা রাজশাহীর উদ্দেশে বাস ছাড়েন। যাত্রীরা প্রথমে বাসটি নিয়ে মামলা করার জন্য টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় যান। সেখানে তখন ওসি ছিলেন না বলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার পরে বাসটি বড়াইগ্রামে থানায় ঢোকানো হয়।
এ সময় বাসের চালক বাবলু আলী (৩০), সুপারভাইজার সুমন ইসলাম (৩৩) ও তাঁর সহকারী মাহবুব আলমকে (২৮) আটক করে ৫৪ ধারায় মামলা দিয়ে আদালতে পাঠায় বড়াইগ্রাম থানা-পুলিশ। পরে তারা আদালতের মাধ্যমে জামিনে ছাড়া পান।
এদিকে ওই ঘটনায় আজ মির্জা থানায় মামলা করেন যাত্রী ওমর আলী। মামলা দায়েরের পর তিনি একটি গণমাধ্যমকে বলেন, গত সোমবার রাত ১১টায় বাসে উঠে ডাকাতির কবলে পড়েন তিনি। এরপর থেকে এ ঘটনা নিয়েই আছেন। আজ ভোর চারটার দিকে পুলিশের গাড়িতে করে তিনি, যাত্রী সোহাগ হোসেন ও তাদের ব্যবসায়িক অংশীদার আবু হানিফকে মির্জাপুর থানায় আসেন। তারপরে মামলার এজাহারে তার স্বাক্ষর নেওয়া হয়। তবে এজাহার তাকে পড়ে শোনানো হয়নি। তিনি জবানবন্দিতে ডাকাতির ঘটনা ও দুই নারীর শ্লীলতাহানির বর্ণনা দিয়েছেন। কিন্তু এজাহারে কী লেখা হয়েছে, তিনি জানেন না।
এমআই