জেলা প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলায় চরমপন্থী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে হানিফ নামে এক শীর্ষ চরমপন্থী নেতাও আছেন।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার ২নং মির্জাপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের শসানঘান এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
নিহত হানিফ হরিণাকুন্ডু উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের আহদনগর (ঠকপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক ক্যাডার ও একাধিক হত্যা মামলার আসামি।
স্থানীয়রা জানান, রাত ১০টার দিকে রামচন্দ্রপুর মাঠে অনেকগুলো গুলির শব্দ শোনা যায়। এতে এলাকায় ভীতির সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তিনজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করি। নিহতদের মাথায় ও বুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। বাকি একজনের পরিচয় শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে। ঘটনাস্থলে দুটি পালসার মোটরসাইকেল, একটি ম্যাগাজিন ও গুলি পাওয়া গেছে বলে জানান ওসি।
ঝিনাইদহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইমরান জাকারিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “সবাইকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহগুলো মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
এদিকে হত্যাণ্ডের পর বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদেবার্তা পাঠায় জাসদ গণবাহিনী। সেখানে লেখা আছে, “এতদ্বারা ঝিনাইদা, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বাশির উদ্দেশ্যে জানানো যাইতেছে যে, পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি নামধারী কুখ্যাত ডাকাত বাহিনীর শীর্ষ নেতা অসংখ্য খুন, গুম, দখলদারি, ডাকাতি, ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হরিনাকুন্ডু নিবাসী মো. হানিফ তার দুই সহযোগীসহ জাসদ গণবাহিনীর সদস্যদের হাতে নিহত হয়েছেন। অত্র অঞ্চলের হানিফের সহযোগীদের শুধরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো অন্যথায় আপনাদের একই পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে- কালু জাসদ গণবাহিনী”।
এমআই