মাহবুবুল হক খান, দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের যন্ত্রাংশ ক্রয়ের সংক্রান্ত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঝুটিকা অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) সকাল ১১টার দিকে দিনাজপুর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মোঃ ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যরা দিনাজপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এই ঝুটিকা অভিযান পরিচালনা করে।
সম্প্রতি দিনাজপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বেশ কিছু যন্ত্রাংশ টেন্ডার দিয়ে ক্রয় করেছে যা সরকারি বিধিবদ্ধ নয় এবং প্রশিক্ষনার্থীদের ভর্তি সংক্রান্ত সরকারি ফিসহ বেশ কিছু অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতা ও আলামত প্রাথমিকভাবে খুঁজে পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
অভিযান পরিচালনার একপর্যায়ে ইনফোর্সমেন্ট টিম লিডার জেলা দুদকের ইসমাইল হোসেন বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইনফোর্সমেন্ট টিম দিনাজপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে মালামাল ক্রয় ও ছাত্রছাত্রী ভর্তি সংক্রান্ত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে।
তিনি বলেন, অভিযানের শুরুতেই দিনাজপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মাসুদ রানার কক্ষে যাই। কিন্তু তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি। পরে ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্টে গেলে সেখানে একটি মেটাট্রনিক ইন্টিগ্রেশন ট্রেনিং যন্ত্র পাওয়া যায়, যা টেন্ডার এ উল্লেখ আছে মেইড ইন চায়না কিন্তু সে যন্ত্রটি তারা মেড ইন বাংলাদেশ থেকে সংগ্রহ করেছেন এবং যন্ত্রটিও অচল। এছাড়া আরো কয়েকটি যন্ত্র যেগুলো কেনার কথা উল্লেখ থাকলেও এসব যন্ত্রের কোন উপস্থিতির প্রমান যায়নি ও এসব যন্ত্র কেনার কোন উপযুক্ত প্রমাণ তারা দেখাতে পারেনি।
এছাড়া ডিজিটাল ইন্টারটেকি বোর্ড এ ধরনের ৪টি যন্ত্রটি কেনার কথা। এই চারটি যন্ত্র ৩২ লাখ টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে। এসব যন্ত্রের কাগজপত্রে প্রাথমিকভাবে অনিয়মের চিত্র উঠে এসেছে।
দিনাজপুর দুদক সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেন আরো জানান ,২০০৬ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মাসুদ রানা অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছেন। ওই সময় পর্যন্ত কাগজপত্র যাচাই-বাছাইের চাওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রায় তিন কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে ও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ প্রদান করা হবে।
এমআি