নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাত বছর পর বর্ধিত সভা করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর লো মেরিডিয়ান হোটেলে বর্ধিত সভা করেছিল দলটি।
জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে এ বর্ধিত সভা হবে। সভায় বক্তব্য রাখবে তৃণমূল, তা শুনবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, দেবেন নতুন বার্তাও।
বর্ধিত সভা উপলক্ষে কাজ করছে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে ২৭ সদস্যের বাস্তবায়ন কমিটি এবং ছয়টি উপকমিটি।
সভায় দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সহ সকল মহানগর, জেলা, থানা, উপজেলা, পৌর কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবসহ প্রায় ৪ হাজার নেতাকর্মী অংশ নেবেন।
নির্বাচনকে সামনে রেখে আয়োজিত হতে যাওয়া বিএনপির এ বর্ধিত সভাকে ‘খুবই সময়োপযোগী’ বলে মনে করেন দলটির সিনিয়র নেতারাও। দলটির নীতিনির্ধারকদের সূত্রে জানা যাচ্ছে, এবারের সভায় গুরুত্ব পাবে মূলত চারটি ইস্যু।
এগুলো হলো: ৫ আগস্টের পর দেশের চলমান পরিস্থিতি, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন, দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখা, মিত্র দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রাখা।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে, বর্ধিত সভার মধ্য দিয়ে মূলত নির্বাচনমুখী কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে দলটি। নির্দেশনা থাকবে পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরের পর থেকেই সর্বস্তরে নির্বাচনকেন্দ্রীক তৎপরতা শুরু করার। স্থানীয় নয় বরং জাতীয় নির্বাচনকে মুখ্য করেই আগাতে চায় দলটি, সে বিষয়ে দেয়া হবে স্পষ্ট নির্দেশনা।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত ১৬ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জাতীয় নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য সময়ের কথা বলেছিলেন।
তিনি বলেছিলেন, অল্প সংস্কার করে নির্বাচন চাইলে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে, আর আরেকটু বেশি সংস্কার করে নির্বাচন চাইলে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব। বিএনপি ডিসেম্বরের ভোট ধরেই সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে।
বিএনপির নেতারা বলছেন, নির্বাচন ও সংস্কার প্রশ্নে তারা অন্তর্বর্তী সরকারের কথা মেনে নিয়েই তাদের পরিকল্পনা দেশবাসীর কাছে তুলে ধরছেন। এরমধ্যে জরুরি ও মৌলিক সংস্কারগুলো শেষ করে দ্রুত একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় করে নেয়াই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। প্রধান উপদেষ্টার দেয়া কথা অনুযায়ী যা ডিসেম্বরেই সম্ভব। নির্বাচন শেষে নতুন নির্বাচিত সরকার এসে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনায় বাকি সংস্কারগুলো সম্পন্ন করবে।
বর্ধিত সভার বিষয়বস্তু নিয়ে বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আলমগীর পাভেল জানান, দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে মতামতগুলো তৃণমূলের নেতাকর্মীদের জানিয়ে দেয়া হবে। চলমান দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক সকল ষড়যন্ত্র পর্যবেক্ষণ করে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করাই হলো এই বর্ধিত সভার মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি জানান, বর্ধিত সভায় সাংগঠনিক দক্ষতাকে আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি। সেই সাথে একটি স্লোগানকে প্রাধান্য দিচ্ছি ‘ সুদৃঢ় ঐক্যই রুখে দিতে পারে সকল ষড়যন্ত্র।’
সময় জার্নাল/এলআর