আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর ব্যর্থতার কারণগুলোর প্রথম আনুষ্ঠানিক বিবরণ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। গাজা যুদ্ধের সূত্রপাত হওয়া এই হামলার পর, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) পক্ষ থেকে এই হামলা প্রতিরোধে 'সম্পূর্ণ ব্যর্থতা' স্বীকার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েল বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
এই প্রতিবেদনে এক ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা জানান, সেনাবাহিনী অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী ছিল এবং হামাসের সামরিক শক্তি সম্পর্কে তাদের ধারণা ভুল ছিল।
১৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, হামাস ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর প্রায় ৫,০০০ বন্দুকধারী হামলায় প্রায় ১,২০০ জন নিহত হয়। এছাড়া ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজাকে নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। তারা ইরান এবং হিজবুল্লাহকে বেশি অগ্রাধিকার দিয়েছিল।
এছাড়া, সামরিক গোয়েন্দা বিভাগ হামাসের পরিকল্পনাকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে। যুদ্ধের আগের মাসগুলোর মধ্যে, সেনাবাহিনী হামাসের পরিকল্পনাকে শুধু একটি ‘ভিশন’ হিসেবে দেখেছিল, কিন্তু এটি ছিল একটি সুসংগঠিত ও বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে শত্রুদের সংস্কৃতি, ধর্ম, ভাষা এবং ইতিহাস সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ছিল না, যার কারণে তারা হামাসের উদ্দেশ্য ও কার্যক্রমকে সঠিকভাবে বুঝতে পারেনি।
গোত্রিক ও সাংস্কৃতিক ব্যবধানের কারণে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের মূল্যায়ন এবং বাস্তবতার মধ্যে একটি বড় ব্যবধান তৈরি হয়েছিল, যা পরবর্তীতে হামলার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে বড় ভুলের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সূত্র: বিবিসি