নিজস্ব প্রতিবেদক:
রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের বার্তা নিয়ে মুসলিম উম্মাহর মাঝে আবারও এসেছে পবিত্র মাহে রমজান। তারাবির নামাজের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে আজ থেকে শুরু হয়েছে রমজানের আনুষ্ঠানিকতা।
শনিবার (১ মার্চ) রমজানের প্রথম তারাবির নামাজে মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। বিশেষ করে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। রাত সোয়া আটটায় নামাজ শুরু হলেও তার অনেক আগেই মুসল্লিরা পাঞ্জাবি-পাজামা পরে জায়নামাজ নিয়ে মসজিদে আসেন। অন্যান্য মসজিদেও মুসল্লিতে পূর্ণ। কোথাও তিল ধারণের জায়গা নেই।
বায়তুল মোকাররমে দেখা যায়, সন্ধ্যার পর থেকেই অনেকে দলবেঁধে, আবার কেউ কেউ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তারাবিহ নামাজ আদায় করতে মসজিদে আসেন। রমজান পেয়ে সবার মধ্যে অন্যরকম এক উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।
মহাখালীস্থ গাউছুল আজম মসজিদ কমপ্লেক্সে তারাবির নামাজে মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। দীর্ঘ এক বছর পর আবারও মসজিদে তারাবির নামাজ আদায় করতে এসে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন মুসল্লিরা।
এছাড়া রাজধানীর আরও কয়েকটি মসজিদ ঘুরেও এমন চিত্র চোখে পড়েছে। প্রত্যেকটি মসজিদ মুসল্লিতে পূর্ণ। মসজিদগুলো সব ফ্লোর মুসল্লিতে ভরা। মসজিদের ভেতরে জায়গা না পেয়ে অনেকে মসজিদের আঙিনায় জায়নামাজ, চাদর ও পাটি বিছিয়ে নামাজ আদায় করছেন। ঢাকা ছাড়াও সারাদেশের সব মসজিদে তারাবির নামাজ আদায় করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
তারাবির নামাজ আদায়ের পর শেষ রাতে সাহরি খেয়ে রোজা রাখবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। ইতোমধ্যে রোজার আমেজ বিরাজ করছে দেশজুড়ে।
মুসলমানদের কাছে রমজান সংযম, আত্মশুদ্ধি ও ত্যাগের মাস। রহমত (আল্লাহর অনুগ্রহ), মাগফেরাত (ক্ষমা) ও নাজাত (দোজখের আগুন থেকে মুক্তি)- এই তিন অংশে বিভক্ত এই মাস। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, স্ত্রী-সহবাস ও যেকোনো ধরনের পাপ কাজ থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে রোজা পালন করেন মুসলমানরা। এ মাসের শেষ অংশে রয়েছে হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম কদরের রাত।
ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, এ মাসে প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব আল্লাহ পাক রব্বুল আলামিন সাত থেকে ৭০ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেন। রমজান শেষে পালিত হয় মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর।
এদিকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে গতকাল শুক্রবার পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আজ থেকে মধ্যপ্রাচ্যে রোজা শুরু হয়েছে।
এমআই