ক্যাম্পাস প্রতিনিধি:
রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ছাত্রদলের সেক্রেটারি বি এম আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে ২ মার্চ (রবিবার)রাত ৯ টা ৪৫ মিনিটে বিক্ষোভ মিছিল করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মিছিল শেষে আলমগীর কবিরের কুশপুত্তলিকা দাহ করার মাধ্যমে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হয় “৫ আগস্টের পরে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে আসছে। কিন্তু শেকৃবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বিএম আলমগীর কবির ৫ আগস্টে আবাসিক হল দখল এবং পরবর্তীতে দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের রাগিংয়ের মাধ্যমে শেকৃবির শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ব্যাহত করছে যার ফলশ্রুতিতে তার অনুগত ছাত্রলীগ থেকে ছাত্রদলে অনুপ্রবেশকারী বিভিন্ন পান্ডাদের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপরে আজকে ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়ে স্থিতিশীল ক্যাম্পাস কে অস্তিতিশীল ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশকে ব্যাহত করছে। যার প্রতিবাদে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাকে ও তার অনুগত পাণ্ডাদের আজকে প্রতিহত করেছি এবং শেকৃবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বিএম আলমগীর কবিরের কুষপুত্তলিকা দাহ করার মাধ্যমে সে ও তার অনুগত পাণ্ডাদের শেকৃবি ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণা করছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের ছায়া দেখা মাত্রই সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
জানা যায় শেকৃবির ২ মার্চ( রবিবার) বিকেলে বিজয়’'২৪ হলের ক্যান্টিন সংক্রান্ত একটি ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট করাকে কেন্দ্র করে ২১ ও ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী মুজাহিদুল ইসলাম ত্বোহা ফেসবুকে বিজয় ২৪ হলের ক্যান্টিন নিজ ব্যাচের কিছু শিক্ষার্থীর মাধ্যমে পরিচালনার একটি প্রস্তাবনা দেন। তার পোস্টের কমেন্টে ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী রায়হান হৃদয় শুধুমাত্র এক ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে ক্যান্টিন পরিচালনার বিরোধিতা করেন। এ বিষয়টি নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ শুরু হয়, যা একপর্যায়ে সরাসরি কথোপকথনে উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডায় রূপ নেয়।
পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে যখন ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহবুর, ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী মারুফের গায়ে হাত তোলেন। মুহূর্তের মধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়লে দুই পক্ষের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনায় হলের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
বিকেলে সংঘর্ষের ঘটনায় শেকৃবি শাখাা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের ইন্ধন আছে বলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন এবং তার কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।
এমআই