এম. পলাশ শরীফ, বাগেরহাট : বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে নতুন প্রজাতির হলুদ জাতের তরমুজ চাষ করে সফলতার পেয়েছে কৃষক জাকির শেখ। ঘুরিয়েছে সংসারের ভাগ্যের চাকা। অসময়ে হলুদ জাতের এ তরমুজ চাষে তিনি জনসাধারনের মনে সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছেন।
উপজেলার পঞ্চকরণ ইউনিয়নের কৃষক জাকির শেখ এ বছর ৪ বিঘা জমি নিয়ে শুরু করলেন তরমুজ সহ মাছ ও সবজির চাষ । চাষাবাদকৃত তিন প্রজাতির তরমুজের মধ্যে হলুদ প্রজাতির ‘মধুমালা’ নামের তরমুজ অন্যতম। অন্য দুই প্রজাতি হল কালো ও বাংলালিংক ছাপা কালারের তরমুজ। এর মধ্যে ১০ শতক জমিতে করা হয়েছে আধুনিক পদ্ধতিতে তিন প্রজাতির তরমুজ চাষ। জমির ভেড়িতে বাঁশের মাঁচায় ঝুলছে তিন প্রজাতির তরমুজ। যা সকলের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছে। বাকী জমিতে রয়েছে বলসুন্দরি কুল, কাশমেরি কুল বাউকুলসহ ৩ প্রজাতির কুল চাষ। রয়েছে গলদা ও সাদা মাছের চাষ ও বিভিন্ন প্রজাতের সবজির চাষ।
সফল চাষি জাকির শেখ বলেন, ইউটিউভ চ্যানেল দেখে এ হলুদ প্রজাতির তরমুজ উৎপাদনে তার আগ্রহ জেগেছে। সংগ্রহ করেন হলুদ প্রজাতির তরমুজের বীজ। মে মাসে রোপন করে জুলাই মাসে এর ফলন পাওয়া যায়। এ তরমুজের জীবনকাল ৬৫-৯০ দিন। রোদের তামপাত্রা ও মাউশিং শিপট ছাড়া এ তরমুজ চাষ করা সম্ভব নয়। এ বছর তিনি ৪ হাজার তরমুজ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন। বছরে তিনবার এ তরমুজ উৎপাদন করা সম্ভব। খুবই সুমিষ্ট এ তরমুজ উৎপাদনে ব্যয় হয়েছে লক্ষাধিক টাকা । এ তরমুজ চাষ করে বছরে ৮-১০ লক্ষ টাকা উপার্জন করা সম্ভব বলে জানান কৃষক জাকির শেখ।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা দিপংকর সমাদ্দার বলেন, আধুনিক পদ্ধতিতে নতুন প্রজাতের ফসল উৎপাদনে কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে সঠিক পরামর্শ অনুযায়ী এ অঞ্চলে প্রথমবারে নতুন তরমুজের বাম্পার ফসল ফলানো সম্ভব হয়েছে। বাম্পার ফলন দেখে আগমিতে নতুন নতুন কৃষক চাষাবাদে ঝুঁকছে।
উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) কৃষি কর্মকর্তা সিফাত আল মারুফ বলেন, নতুন প্রজাতির তরমুজের বাম্পার ফলনে অন্যান্য কৃষকরাও উৎসাহিত হচ্ছে। লাভজনক ফসল উৎপাদন করে কৃষক জাকির শেখ এখন এ জেলায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
সময় জার্নাল/এমআই