এহসান রানা, ফরিদপুর:
ফরিদপুরের সালথায় পেঁয়াজের দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে চাষিরা। নতুন পেঁয়াজ উত্তোলন শুরু হলেও ন্যায্যমুল্যে পাচ্ছেন না তারা। পেঁয়াজ উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজারে পেঁয়াজের দাম কম থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে পেঁয়াজ চাষিদের।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, গত বছরে চাষিরা পেঁয়াজের মুল্যে ভালো পাওয়ায় এবছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি (১২ হাজার হেক্টর) জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করে। এই উপজেলায় দুই লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদণের সম্ভাবনা রয়েছে। এবছর প্রতিমণ পেঁয়াজ উৎপাদনে যদি ১১শ' থেকে ১২শ" টাকা খরচ হয়, তাহলে বর্গা চাষিদের দেড়গুন খরচ হবে। তাতে বর্গা চাষিদের প্রতিমণ পেঁয়াজ উৎপাদণে খরচ পড়বে ১৭শ' টাকা থেকে ১৮শ' টাকা। সর্বনিম্নে বাজারে ২ হাজার টাকা পেঁয়াজের দাম হলে চাষিরা দু-মুঠো ডাল-ভাত খেয়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাঁচতে পারবে।
উপজেলার পেঁয়াজ চাষিরা জানান, পেঁয়াজ চাষে বিঘাপ্রতি খরচ ৭০ হাজার থেকে প্রায় ৮০ হাজার টাকা। দেশি পেঁয়াজ ভালো হলে বিঘাপ্রতি ৭০/৮০ মণ ফলন হয়। আর বর্তমান বাজারে পেঁয়াজ প্রতিমন বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা থেকে ১০৫০ টাকা। পেঁয়াজ উৎপাদন খরচের চেয়েও বাজারে কম মুল্যে পাচ্ছে কৃষকরা। প্রতিমণ পেঁয়াজের মুল্যে ২হাজার টাকা হলে কৃষকরা কিছুটা লাভবান হতো।
ফরিদপুরের সালথা উপজেলা কৃষি অফিসার সুদর্শন সিকদার জানান, এবছর পেয়াজের বীজের দাম বেশি থাকায় এবং অধিক সেচের প্রয়োজন হওয়ার উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। নিজস্ব জমিতে উৎপাদন ব্যয় মনপ্রতি ৯০০টাকার কাছাকাছি এবং লিজ/বর্গা জমিতে ১৩০০ টাকার কাছাকাছি। মৌসুমের শুরুতে দাম কম থাকলেও আশা করা যায় পরবর্তীতে দাম বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরো বলেন, সরকার কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মাধ্যমে কৃষকদের নিকট হতে ন্যায্যমূল্য পেয়াজ ক্রয়ের উদ্যোগ নিবে বলে আমরা আশাবাদী।