রুহুল সরকার,রাজীবপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে রাজীবপুর উপজেলায় ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীদের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
শনিবার সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের সুবিধাভোগীদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়।
ভিজিএফ চাল বিতরণের সময় স্লিপ না পেয়ে ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ শাহাব উদ্দিনের দুই ছেলে কে মারধরের অভিযোগ উঠেছে রাজীবপুর সদর ইউনিয়ন কৃষকদলের সহ সভাপতি মফিজুল হক (মফিজ আর্মি) ও সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে।
শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফ এর চাল বিতরণের সময় এ ঘটনা ঘটে।
ইউপি সদস্য শাহাব উদ্দিন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, মফিজ আর্মি ও সাইদুর আমার কাছে ২০০ টি স্লিপ চায়। এসময় আমার দুই ছেলে সাথে ছিল । আমি স্লিপ না দিলে তারা আরও প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন এসে আমার বড় ছেলে ফুল মিয়া ও ছোট ছেলে শাকিল আহমেদ কে মারধর শুরু করে। পরে উপস্থিত জনগণ সেখান থেকে আমাদের উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদের রুমে নিয়ে যায়। পরে চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষে বিচারের উদ্দেশ্যে বসলে সেখানেও উত্তেজিত হয়ে আমার দুই ছেলে কে আবারও মারধর করে আহত করে। পরে আমার দুই ছেলেকে উদ্ধার করে রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয় তারা সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এসময় পরিষদ থেকে ৩০ বস্তা চাল লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
ইউপি সদস্য শাহাব উদ্দিনের বড় ছেলে ফুল মিয়া জানান, আমার বাবার কাছে মফিজ আর্মি ও সাইদুর ২০০ টি ভিজিএফ চালের এর স্লিপ চায় এবং বাবাকে হুমকি প্রদান করে। আমরা বাঁধা দিলে আমাদের দুই ভাইকে মারপিট করে।
মারধর করার বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে রাজীবপুর সদর ইউনিয়ন কৃষকদলের সহ-সভাপতি মফিজুল হক (মফিজ আর্মি) বলেন, শাহাব উদ্দিন মেম্বার ভূয়া নাম দিয়ে চাল তুলে নিয়ে যাচ্ছিল। ইউনিয়ন পরিষদের সচিব কিছু চাল জব্দ করে। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ জানাই। এসময় মেম্বার দৌড়ে এসে সাইদুরের কলার ধরে মারধর করে। পরে স্থানীয়রা আমাদের সরিয়ে দেয়।
চালের স্লিপ চাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা ১০ কেজি চালের স্লিপ কেন চাইব। আমরা শুধু বলছিলাম, এলাকায় গরীব মানুষ গুলো যেন চাল পায় এবং বিতরণে যেন কোন অনিয়ম না হয়।একথা বলার পরেই আমাদের দিকে তেরে এসে সাইদুর কে মারধর করে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে মেম্বার।
রাজীবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরন মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে চাল বিতরণে সময় একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। ওই এলাকায় আ'লীগের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে তারাই মেম্বারকে দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
সময় জার্নাল/তানহা আজমী