আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
নতুন এই প্রস্তাবটিতে একটি সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের বিনিময়ে সব পণবন্দীর মুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে একটি নতুন প্রস্তাব দিয়েছে মিসর। নতুন প্রস্তাবটি যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকমী সংগঠন হামাস মেনে নিলেও ইসরাইল এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
সোমবার (২৪ মার্চ) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
মিসরের নতুন পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে হামাস পাঁচজন ইসরাইলি পণবন্দীকে মুক্তি দেবে এবং প্রথম সপ্তাহের পর ইসরাইল যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ কার্যকর করবে। নতুন এই প্রস্তাবটিতে একটি সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর মাধ্যমে গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের বিনিময়ে সব পণবন্দীর মুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চয়তা দেবে বলেও জানিয়েছে মিসরের কর্তৃপক্ষ।
নিরাপত্তা সূত্রগুলো জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও হামাস উভয়ই এই প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে। কিন্তু ইসরাইল এ বিষয়ে এখনো কোনো সাড়া দেয়নি।
এদিকে হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে। তবে হামাস বলেছে, তারা এখনো আলোচনা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে।
অপরদিকে ইসরাইল দাবি করেছে, গাজায় অবশিষ্ট পণবন্দীদের মুক্তি দিতে হামাসকে বাধ্য করার জন্য তারা সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু করেছে।
গত মঙ্গলবার ভোর থেকে শুরু হওয়া হামলায় প্রায় ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে কমপক্ষে ৪০০ জন নারী ও শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
ফিলিস্তিনের জন্য জাতিসঙ্ঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে গাজায় এক লাখ ২৪ হাজার ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
সময় জার্নাল/এলআর