মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন:
ছোট-বড়, ধনী-গরীব, শিক্ষক-শিক্ষার্থী কিংবা অন্য পেশার বিভিন্ন মানুষ এক কাতারে দাঁড়িয়ে সম্মিলিতভাবে নামাজ পড়ে থাকেন মসজিদে। ব্যতিক্রমও রয়েছে। দেশের প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হলেই রয়েছে নামাজের জন্য নির্দিষ্ট স্থান, যেখানে নিয়মিত নামাজ পড়েন শুধুমাত্র শিক্ষার্থীরাই।
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি'র) চারটি ছাত্র হলেই রয়েছে ওয়াক্তিয়া নামাজের ব্যবস্থা, রয়েছে মসজিদ কিংবা নামাজের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা। সেখানে নিয়মিত নামাজ পড়েন শুধুমাত্র শিক্ষার্থীরাই। তবে মাঝে মধ্যে অন্য পেশার মানুষদেরকেও নামাজ পড়তে দেখা যায়।
প্রায় ১০০০ শিক্ষার্থী ধারণ ক্ষমতার সবচেয়ে বড় আবাসিক হল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হলে ওয়াক্তিয়া নামাজের পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয় জুমা'র নামাজ। চলে তারাবির নামাজও। এখানে ওয়াক্তিয়া কিংবা জুমা'র নামাজে শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণ বাড়ায় পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য।
শুধু রমজান নয়, বছরের বাকি সময়গুলোতেও নিয়মিত নামাজ, কুরআন পাঠ সহ ইবাদত বন্দেগিতে মসজিদ চর্চা করেন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা।
জিয়া হল মসজিদটির ইমাম ও খতিব ক্বারী মওলানা মোঃ মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ২০১৪ সাল থেকে এখানে আছি। শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের নিয়ে নামাজ পড়ার দৃশ্যটি আমাকে প্রচন্ড ভাবায়, আনন্দ দেয়। প্রথম থেকে শেষ কাতার পর্যন্ত সম্মিলিত ভাবে এতগুলো স্টুডেন্ট একসাথে নামাজ আদায় করার সৌন্দর্য উপেক্ষা করা যাবে না।
হলটির আবাসিক শিক্ষার্থী ফরিদ উদ্দিন বলেন, নামাজের কাতারে যখন শুধু শিক্ষার্থীরাই দাঁড়িয়ে থাকি, তখন মনে হয় আমরা একে অপরের আত্মার আত্মীয়। জুমার দিন শত শত শিক্ষার্থীর একসাথে ইবাদতে অংশ নেওয়া আমাদের মাঝে সৃষ্টি করে ভ্রাতৃত্ব, শৃঙ্খলা আর আত্মিক বন্ধন। এই পরিবেশ আমাকে ধর্মীয় চর্চার পাশাপাশি একটি ইতিবাচক জীবনচর্চার অনুপ্রেরণা দেয়।
এমআই