জাহিদুল ইসলাম, রাবি প্রতিনিধি :
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট থেকে আওয়ামীপন্থী শিক্ষক এবং বৈষম্য নিরসনে শিক্ষক নিয়োগে অভিন্ন ইউজিসি নীতিমালা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ( ১৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ কর্মসূচি পালন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
কর্মসূচিতে রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী শিক্ষক হবে সেটা এই আওয়ামী সিন্ডিকেট নির্ধারণ করে দিবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত নির্ধারণে আওয়ামী সিন্ডিকেটের হস্তক্ষেপ মেনে নেয়া হবে না। আপনারা রাতের বেলায় আওয়ামী সিন্ডিকেটের সঙ্গে মিটিয়ে বসেন আবার দিনের বেলায় বয়ান দেন আমরা আওয়ামী বিরোধী। আওয়ামী শিক্ষকদের ক্ষেত্রে আপনারা সুশীলগিরী দেখাবেন না। এরা শ্রেণিকক্ষে ভিন্ন মতে বিশ্বাসী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ট্যাগ দিয়ে হেনস্থা করতো, পরীক্ষার নম্বর কমিয়ে দিতো।
তিনি আরো বলেন, ইউজিসির প্রত্যেকটা শব্দ বাস্তবায়ন করতে হবে, কেননা আপনারা এতে সংযোজন করে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করেন। নিজেদের ছেলে, মেয়ে এমনকি জামাইকে পর্যন্ত শিক্ষক হতে সুযোগ করে দেন। আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, অনতিবিলম্বে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের অপসারণ এবং শিক্ষক নিয়োগে অভিন্ন ইউজিসি নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, আপনারা একবার কল্পনা করে দেখেন আজকে যদি ৫ আগস্ট না আসতো এবং আওয়ামী সরকারের পতন না হতো, তাহলে যে শিক্ষকগুলো আমাদের সঙ্গে আন্দোলন করে এখন প্রশাসনে বসে আছে, তাদের ব্যবস্থা আওয়ামী শিক্ষকরা কি করত? তারা এত সহনশীলতা দেখাতো না। যে শিক্ষকরা-শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে তাদের প্রত্যেকের অবস্থা খারাপ হতো। অথচ বিপ্লবের দীর্ঘ প্রায় নয় মাস পার হলেও আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা এখনও বহাল তবিয়তে আছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই দ্রুত তাদের অপসারণ করতে হবে।
আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার অভিযোগ করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় সংগঠক আকিল বিন তালেব বলেন, ' পাঁচ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আবার রাস্তায় দাঁড়াতে হবে এটি আমরা কখনো ভাবিনি। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের যে ভূমিকা আমরা দেখতে পাচ্ছি তাতে ব্যথিত হওয়া ছাড়া কিছু বলার নেই। উপাচার্য স্যারকে আমরা বলতে চাই, আপনার কাছে আমরা কতোগুলো সংস্কারের দাবি জানিয়েছি। সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আপনি পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। নয়তো আমরা আবারও রাজপথে নামতে বাধ্য হব।
এসময় ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী নুরুল ইসলাম শহীদের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিফাত আলী, ছাত্র মিশনের সভাপতি জি এস সাব্বির,ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ - সভাপতি আমান উল্লাহ খান। এসময় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এমআই