নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফ্লাই জিন্নাহ'র পর এবার ঢাকায় ফ্লাইট চালুর আগ্রহ দেখিয়েছে আরেক পাকিস্তানি বেসরকারি বিমান সংস্থা 'এয়ার সিয়াল'। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব জশিম উদ্দিন।
তিনি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, এয়ার সিয়াল আমাদের কাছে ফ্লাইট চালুর জন্য আবেদন করেছে। বিষয়টি আমরা বিবেচনা করছি।
এ বিষয়ে পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হুসাইন বার্তা সংস্থা বাসস-কে জানান, ফ্লাই জিন্নাহ বর্তমানে তাদের বহর সম্প্রসারণের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে অনুমোদন পেলে এয়ার সিয়াল দুই মাসের মধ্যে ঢাকায় তাদের ফ্লাইট চালু করতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ পুনরায় চালু হলে তা পর্যটন খাতকে উৎসাহ দেবে এবং দুই দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ আরও বাড়বে।
২০১৫ সালের আগস্টে যাত্রা শুরু করে এয়ার সিয়াল। সংস্থাটি অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত একটি বিমান সংস্থা।
এর আগে চলতি বছরের ২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার আহমদ মারুফ। সেদিন তিনি 'পারস্পরিক সম্পর্ক ও ব্যবসায়িক স্বার্থে' দুই দেশের মধ্যে পুনরায় সরাসরি ফ্লাইট চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি জানান, সবশেষ ২০১৮ সালে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস (পিআইএ) বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করত। তবে যাত্রীসংখ্যা কম হওয়া ও আর্থিক ক্ষতির কারণ দেখিয়ে পিআইএ সে রুটে ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়।
তবে নতুন করে সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়টি সামনে আনে ফেডারেশন অব পাকিস্তান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফপিসিসিআই)।
গত ১২ জানুয়ারি ঢাকায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠকে এফপিসিসিআই সভাপতি আতিফ ইকরাম বলেন, পাকিস্তানের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহী। তবে ভিসা জটিলতা ও সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় তারা তা বাস্তবায়নে বাধার মুখে পড়ছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে জাল মুদ্রা চোরাচালানের অভিযোগে পিআইএর ঢাকা স্টেশনের ম্যানেজার আলী আব্বাসকে আটক করে পাকিস্তানে ফেরত পাঠায় পুলিশ। এই অভিযোগে তখন পিআইএ কার্যালয়ে কয়েক দফা তল্লাশিও চলে। এরপরেই ঢাকার সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণা দেয় পিআইএ।
এমআই