জাহিদুল ইসলাম, রাবি প্রতিনিধি:
বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি বৈষম্য নিরসন ও তিন দফা বাস্তবায়নের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। 'প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলন, রাবি' এর ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড.এম.এ ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি প্যারিস রোডে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা, 'কোটা না মেধা, মেধা মেধা', 'প্রকৌশলের অধিকার, আমাদের অঙ্গীকার', 'এই মুহূর্তে দরকার, প্রকৌশল খাতে সংস্কার', '১০ম গ্রেড মুক্তি পাক, বৈষম্যের নিপাত যাক', 'কোটার নামে অবিচার, চলবে না চলবে না' ইত্যাদি স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো, 'ইঞ্জিনিয়ারিং ৯ম গ্রেডে সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং বিএসসি ডিগ্রিধারী হতে হবে', 'টেকনিক্যাল ১০ম গ্রেডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদ সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে', 'ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া কেউ ইঞ্জিনিয়ার পদবি ব্যবহার করতে পারবেনা'।
কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আরিফ মাহমুদ ফয়সাল বলেন, 'পলিটেকনিক্যাল এর শিক্ষার্থীরা যে ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন তার মধ্যে কিছু হয়তো যৌক্তিক বাকি সব সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। দশম গ্রেডের শতভাগ পলিটেকনিক্যালের শিক্ষার্থীদের নেওয়া হচ্ছে। দশম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডে উত্তীর্ণ সময়ও তাদের জন্য কোটা রয়েছে। কিন্তু জুলাই পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে কেনো কোটা থাকবে?এটা নতুন বাংলাদেশ, এই বাংলাদেশে কোনো বৈষম্যের ঠাঁই নাই।'
ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাসান হাওলাদার বলেন, 'কোটা ব্যবস্থা বহাল রাখার জন্য আমরা জুলাই আন্দোলন করিনি। জুলাই পরবর্তী সময়ে কিভাবে বাংলাদেশে কোটা থাকে? বর্তমান সরকার বিপ্লবী সরকার। আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ আপনারা বিষয়টি দ্রুত সমাধান করবেন।'
বিক্ষোভ সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সিফাত আবু সালেহ। এ সময় প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
এমআই