এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট প্রতিনিধি:
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা ও তরুণদের জীবন মান উন্নয়ন নিশ্চিত এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ সৃষ্টিতে বিনোয়োগ বাড়াতে হবে, এবং স্থানীয় পর্যায়ে বাজেট বরাদ্দ কীভাবে করা সে বিষয়ে এখনি উদ্দ্যোগ নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আমমেদ কামরুল হাসান । মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে বাগেরহাট লেডিস ক্লাবে এক্টিভিস্টা বাগেরহাট ও রামপালের যৌথ আয়োজনে এবং বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থা ও একশনএইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় আয়োজিত এক প্রাক-বাজেট পরামর্শ সভায় জেলা প্রশাসক এ কথা বলেন।
বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এএসএম মঞ্জুরুল হাসান মিলন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মুস্তাফিজুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম নুরুন্নবী, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আসাদুর রহমান, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ সোহরাব হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তন্ময় দত্ত, বাগেরহাট প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান, সহ-সভাপতি এসএম রাজ, সাধারণ সম্পাদক তরফদার রবিউল ইসলাম, সাবেক সভাপতি বাবুল সরদার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোসা. নাসরিন জাহান, একশনএইড বাংলাদেশের প্রতিনিধি মোঃ নয়ন হোসেনসহ বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থার অর্ধশতাধিক যুব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সভার মাধ্যমে সম্পদের ন্যায্য বণ্টন, পরিবেশ রক্ষা ও যুব উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা প্রস্বাব আকারে তুলে ধরেন বাঁধনের যুব প্রতিনিধিরা। এছাড়া বাঁধনের যুবরা স্থানীয় জনগণের অভিমত নিতে জরিপ পরিচালনা করে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, মেলরিন টেকনোলজি ইনস্টিটিউট, টেকনিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উপজেলা কৃষি অফিস, সমাজসেবা অধিদপ্তর, ষাটগম্বুজ, খানপুর ও কাড়াপাড়া ইউনিয়নসহ সরকারী বিভিন্ন দপ্তরসমূহ।।
ভুক্তভোগী ইমরান বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমাদের এলাকার খালগুলো প্রভাবশালী মহলের দখলে। ভাবছিলাম নতুন বাংলাদেশে গোদাড়ার খাল, মানদার তলা খাল ও খুন্তাকাটা খাল দখলমুক্ত হবে। কিন্তু এখনো শুধু আশ্বাসই পাচ্ছি। মানববন্ধন করেছি, বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেছি—কিন্তু খাল মুক্ত করতে পারিনি।”
অর্ণব মিস্ত্রি বলেন, “আমরা যারা পরিবেশ নিয়ে কাজ করি, তারা চাই এলাকার খাল ও জলাভূমি রক্ষা পাক। বাজেট বরাদ্দে যেন বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জলবায়ু অভিযোজনসহ গুরুত্বপূর্ন বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয় এবং এসব পরিবেশ বিষয় অগ্রাধিকার পায়, সেই দাবিই আজ জানাচ্ছি।”
সামিয়া সুলনা বলেন, “তরুণরা যদি অংশ নিতে না পারে, তবে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। বাজেট পরিকল্পনায় আমাদের মতামত গুরুত্ব পাবে—এমন প্রত্যাশা করি।”
অনুষ্ঠান শেষে একটি সুপারিশ প্রস্তাবনা পত্র তৈরি করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এমআই