ইসাহাক আলী, নাটোর: নাটোরের নলডাঙ্গায় নদীতে ঝাঁপ দিয়ে অচেতন অবস্থায় সকলের সামনেই ভেসে গেলো ইমন আলী নামে এক কলেজ ছাত্র। এ ঘটনার একদিন পেরিয়ে গেলেও মেলেনি ইমনের মরদেহ। তার মরদেহ উদ্ধারে রাজশাহী থেকে ডুবুরি দল রওনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ঘটনাটি ঘটার পর থেকে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইমনের আর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনাকালীন চলা একটি ভিডিও লাইভ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। খবর পাওয়ার পর নলডাঙ্গা থানা পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়েও উদ্ধার করতে পারেনি কলেজ ছাত্র ইমনকে।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, উপজেলার হলুদঘর এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ সংলগ্ন বারনই নদীতে এলাকার বিভিন্ন বয়সী মানুষের সাথে নদীতে ঝাপ দিতে যায়। এক পর্যায়ে ঝাপ দেয়ার সাথে সাথেই অচেতন অবস্থায় প্রথমে ভেসে উঠে। পরে নদীর পানিতে তলিয়ে যায়।বিকালে পরিবারের সদস্যরা ইমনকে খুজতে খুজতে নদীর ধারে তার সাইকেল ও স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখে কান্না শুরু করে।
ফেসবুক লাইভের ওই ভিডিওতেও দেখা যায় ইমন সাইকেল রেখে নদীতে ঝাপ দিয়ে তলিয়ে যায়।
ইমন পার্শ্ববর্তা রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার সাধনপুর পঙ্গু নিকেতনের বিজনেরস ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেয়া হয়েছে বলে জানান ওসি নজরুল ইসলাম।
কি আছে ওই ভিডিওতে? বর্ষায় নদীতে নতুন পানি আসায় বিভিন্ন বয়সী মানুষ ও শিশুরা নদীতে ঝাপ দিচ্ছিল। এ সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পেজ থেকে লাইভ করা হচ্ছিল সেই দৃশ্য। এতে দেখা যায় নীল গেঞ্জি ও লুঙ্গি পড়ে এক যুবক সাইকেল নিয়ে সেখানে আসে। পরে নদীর পাড়ে সাইকেল রেখে দেৌড়ে গিয়ে নদীতে লাফ দেয় সে। ডিংবাজি স্টাইলে লাভ দিয়ে তার মাথাটা নিচে আর শরীরের নীচের অংশটা থাকে উপরে। লাফ দেয়ার পর তার পা দুটো উপরে থাকতেই ভেসে ওঠে তার দেহ। এরপর ভাসতে ভাসতে কিছুদূর যাওয়ার পর আস্তেই তলিয়ে যায় সে।
ইমন নিখোজের পর ওই লাইভ দেখে ইমনের মতো একটি তরুন প্রাণ ঝরে যাওয়ার দৃশ্য দেখে সবাই। কিন্তু নদীতে স্রোত বেশি থাকায় তারে আর খুজে পাওয়া যায়নি। এখনো চলছে খোজ, রাজশাহীর ডুবুরি দল এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করবে বলে জানা গেছে।
সময় জার্নাল/এমআই