নুসরাত নাঈম সাজিয়া,রাজশাহী কলেজ প্রতিনিধি:
ডিএস পুলে কোটা পদ্ধতি বাতিল চাই, ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার, সকল ক্যাডারের সমতা চাই স্লোগানকে সামনে রেখে প্রশাসন ক্যাডার কর্তৃক বৈষম্যমূলক ভাবে সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলা প্রত্যাহার এবং আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবিতে রাজশাহী কলেজের শিক্ষকরা কলম বিরতি কর্মসূচি পালন করেছে। কর্মসূচি চলাকালে রাজশাহী কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে কলেজের শিক্ষরা ১ ঘন্টা অস্থান কর্মসূচি পালন করেন এবং নিজেদের দাবিগুলো তুলে ধরেন।
মঙ্গলবার ( ২৭ মে ) সকাল ৯ টায় কলেজের প্রশাসন ভবনের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো: ইব্রাহিম আলী, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর ড. মো: সেরাজ উদ্দীন, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.শাহ মোঃ মাহবুব আলমসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দরা।
এসময় শিক্ষকরা বলেন, সারাদেশের মতো আজ রাজশাহীতেও বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা কলম বিরতি কর্মসূচি পালন করেছেন। আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের আহ্বানে দেশের বিভিন্ন দপ্তরে সকাল ৯.০০ টা থেকে দুপুর ১২.০০ টা পর্যন্ত পরিষদের অন্তর্ভুক্ত সিভিল সার্ভিসের ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তাদের এ কর্মসূচি সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে আমরা রাজশাহী কলেজেও কলম বিরতী কর্মসূচিতে অবস্থান নিয়েছি।
তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যরা মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরে মারামারি, মিছিল ও জনপ্রশাসনে শোডাউন করেন। সংস্কার কমিশনকে আল্টিমেটাম দেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি শুরু হয় এবং প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যরা বাকি ২৫টি ক্যাডারের সদস্যদের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। এসব লেখালেখির কারণে ২৫ ক্যাডারের ১২ জন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিলো। সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে বিষয়টি সমাধানের জন্য আশ্বস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টিকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
এছাড়াও সম্প্রতি কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম শুরু করেছে। অথচ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা সরকারি বিধি-বিধান বহির্ভূত কার্যকলাপের পরও তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
সংস্কার কমিশন উপসচিব পুলে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০% কোটা রেখে অন্যান্য ২৫টি ক্যাডারের জন্য ৫০% পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগের সুপারিশ করে, যা জুলাই বিপ্লবের সাথে সাংঘর্ষিক বলে পরিষদ মনে করে।
উল্লেখ্য, জবাবদিহিমূলক জনবান্ধব সিভিল সার্ভিস গঠনের লক্ষ্যে সংস্কার কমিশনকে সহযোগিতা করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ। জাতীয় পর্যায়ে সেমিনার, গোলটেবিল বৈঠক, আলোচনা সভার মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করে 'কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, ডিএস পুলের কোটা বাতিল ও সকল ক্যাডারের সমতা বিধান' এর প্রস্তাব উত্থাপন করেছে ঐকমত্য কমিশনে। ইতোপূর্বে পরিষদের অন্তর্ভুক্ত ক্যাডার সমূহের নেতৃবৃন্দরা জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনেও একই দাবি উত্থাপন করেছিলো যেগুলো যথাযথভাবে আমলে নেয়নি সংস্কার কমিশন।