মো. মাহিদুজ্জামান সিয়াম, গবি প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে দীর্ঘ দেড় মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) আইন বিভাগের ৩০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম মুন্না।
মুন্নার জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করে রবিবার (১৮ মে) সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাইনুদ্দীনের স্বাক্ষরিত হাইকোর্ট বিভাগের একটি কনফারমেশন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
মুন্নার পক্ষের আইনজীবী সাতক্ষীরা জজ কোর্টের এডভোকেট ফুয়াদ হাবিব টিটন জানান, "উক্ত মামলা হতে মুন্নাকে জামিনের উদ্দেশ্যে প্রথমে শ্যামনগর বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের প্রার্থনা করা হয়। সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট বক্তব্য শোনার পর জামিন নামঞ্জুর করেন। জামিন নামঞ্জুর করলে উক্ত মামলার সার্টিফাইড কপি তুলে বিজ্ঞ দায়রা জজ আদালতে আবার জামিনের প্রার্থনা করা হয়। দায়রা জজ আদালত পূনরায় জামিন নামঞ্জুর করেন। এরপর উক্ত মামলার সার্টিফাইড কপি তুলে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে জামিনের প্রার্থনা করলে মহামান্য হাইকোর্ট মুন্নার জামিন মঞ্জুর করেন এবং বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নিকট মুন্নার মুক্তির আদেশ দেন।"
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উসকানিতে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের কিছু কর্মী ১২ মার্চ সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ও সহিংসতায় জড়ায়। এই ঘটনায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রসংগঠনের কর্মী সন্দেহে ৫ এপ্রিল গ্রেফতার হন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম মুন্না।
তবে এ গ্রেফতারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে মানববন্ধন করেন গবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, "ঘটনার দিন মুন্না বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন এবং মামলার অভিযোগের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই—এ বিষয়ে প্রমাণও উপস্থাপন করা হয়।"
মুক্তি পেয়ে সামিউল ইসলাম মুন্না বলেন, "আমি আইনের অপপ্রয়োগের শিকার হয়েছি যা আমার জন্য এবং আমার পরিবারের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক। আমি কখনো ভাবিনি আইনের অপপ্রয়োগের জন্য আমাকে জেলে যেতে হবে। সর্বোপরি আমি আমার শিক্ষক, সহপাঠী এবং আমার দুর্দিনে যারা আমার মুক্তির জন্য সহযোগিতা করেছে এবং আমার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। সবাই আইনের ন্যায়বিচারের আওতায় আসুক এবং কেউ যেন আইনের অপপ্রয়োগের শিকার না হয় সেই কামনা করি।"