মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন:
২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের ৫৫ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ১১ হাজার ৬৯০ কোটি ৪ লাখ টাকার বাজেট চূড়ান্ত করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এর মধ্যে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) রাজস্ব বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ১১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। যা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ২য় সর্বোচ্চ।
এছাড়াও ওই অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জিত রাজস্ব ৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা দেখানো হয়েছিল। পাশাপাশি গবেষনা খাতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেট ছিল ৪ কোটি টাকা। যেখানে শিক্ষকের গবেষণার জন্য ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং শিক্ষকদের (পিএইচডি) গবেষণার জন্য ১ কোটি ২০ লাখ টা বাজেট বরাদ্দ ছিল।
তার আগের বছর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে হাবিপ্রবিতে বাজেট বরাদ্দ ছিল ১০৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। ওই অর্থবছরে হাবিপ্রবিতে সংশোধিত বাজেট ছিল ১১৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
দেশের ৫১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের ২০২২-২৩ অর্থবছরের ব্যয় নির্বাহের জন্য ১০ হাজার ৫১৫ কোটি ৭১ লক্ষ টাকার বাজেট অনুমোদন করেছিল বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বাজেটে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ১০ হাজার ৪৪৪ কোটি ৪ লাখ টাকা এবং ইউজিসি’র জন্য ৭১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। হাবিপ্রবির জন্য বরাদ্দ ছিল ১০৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে ২য় অবস্থানে হাবিপ্রবি।
শুধু বরাদ্দের অঙ্ক বড় করলেই চলবে না, প্রয়োজন দূরদর্শী পরিকল্পনা, অগ্রাধিকারের যথাযথ বণ্টন এবং সুষ্ঠু বাস্তবায়ন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, গবেষণা তহবিল বৃদ্ধি, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষা কার্যক্রমে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন হাবিপ্রবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন, গবেষণার পরিধি বাড়াতে প্রয়োজন উচ্চমানের ল্যাব, আন্তর্জাতিক গবেষণা সহযোগিতা এবং প্রশিক্ষণের সুযোগ। পাশাপাশি, আধুনিক শ্রেণিকক্ষ, আবাসন সংকট নিরসন ও শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতেও বাজেটের সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রয়োজন।
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে শিক্ষা খাতে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হাবিপ্রবির বাজেট পরিকল্পনায় আরও সুদূরপ্রসারী ও প্রয়োজনভিত্তিক বরাদ্দের প্রতি জোর দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
এমআই