শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

হাবিপ্রবির সুবিধাভোগী বহিরাগতদের বেশিরভাগই কিশোর-তরুণ-তরুণী

শুক্রবার, জুন ১৩, ২০২৫
হাবিপ্রবির সুবিধাভোগী বহিরাগতদের বেশিরভাগই কিশোর-তরুণ-তরুণী

মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন:

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) বর্তমানে শুধু শিক্ষার্থীদের জন্যই নয়, অনেক বহিরাগত কিশোর ও তরুণ এবং কতিপয় তরুণীর জন্যও যেন একটি "উন্মুক্ত সুবিধার ক্ষেত্র" হয়ে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি, টিএসসি, ক্যান্টিন, ডাইনিং, ইন্টারনেট জোন এমনকি আবাসিক হলের সেবাও অনেক সময় শিক্ষার্থী পরিচয় ছাড়াই ব্যবহার করছেন অনেকে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিনের পর দিন এসব সুবিধা ভোগ করছেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, টিএসসিতে বসে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন কয়েকজন বহিরাগত কিশোর। পরিচয় জানতে চাইলে তারা নাম বললেও এখানকার শিক্ষার্থী নন বলে স্বীকার করেন। কেউ কেউ আবার প্রাইভেট কোচিং করার কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ঘোরাঘুরি করছেন দিনের পর দিন।

সুবিধাভোগী এসব কিশোর-তরুণ-তরুণীর বয়স ১৩-২৭ বছরের মধ্যে। পূর্বে বহিরাগতের অনেকেই আবাসিক হলে বছরের পর বছর থেকে সুবিধা গ্রহণ করেছেন। তবে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে তা কিছুটা কমেছে। এছাড়াও পরিবহণ সুবিধা নিয়মিত ব্যবহার করেন দিনাজপুরের স্থানীয় স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা (ছেলে-মেয়ে উভয়ই)। সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণের পাশাপাশি তারা পুরস্কার নিয়ে তুলেন ঘরে। এসব অহরহ নজির রয়েছে হাবিপ্রবি তে।

অথচ অনাগ্রহ কিংবা আগ্রহ কম থাকায় প্রকৃত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সুবিধা গ্রহণ করেন না। যেগুলো বহিরাগত অনেকেই নিঃসঙ্কোচে অবৈধভাবে গ্রহণ করেছে।

এ.আই.ই বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী জাবেদ মজুমদার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা পরিচয়পত্র ছাড়া অনেক জায়গায় প্রবেশ করতে পারি না। ভোগান্তি পোহাতে হয়। অথচ বহিরাগত অনেকেই অনায়াসে সুযোগ সুবিধা নিতে পারছে। তাদের দৌড়াত্ম বন্ধ করা উচিৎ।”

পূর্বে সংঘাত, মারামারি কিংবা রাজনৈতিক আয়োজনে বহিরাগতদের পর্যাপ্ত উপস্থিতি লক্ষ্য করা যেত। বর্তমানেও এ ধরণের আশঙ্কা রয়ে গেছে। শিক্ষকদের মতে, 'এই প্রবণতা বন্ধ না হলে শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়তে পারে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. শামসুজ্জোহা বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি নিরাপত্তা জোরদার করতে। কিন্তু অনেক সময় ছাত্রদের পরিচয়ে বহিরাগতরা প্রবেশ করে, যা চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে এ বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ রক্ষায় সার্বক্ষণিক প্রস্তুত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।”

হাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষের কাছে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে – বিশ্ববিদ্যালয়কে বহিরাগত দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত রাখা এবং প্রকৃত শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ ও মনোযোগপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা।


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৫ সময় জার্নাল