আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র ফোরদো-তে হামলার বিষয়ে চিন্তা করছেন বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই স্থাপনায় হামলা চালাতে হলে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় 'বাঙ্কার-বাস্টার' বোমা—'ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর'—ব্যবহার করতে হবে। এ বোমা কেবল বি-২ বোমারু বিমান থেকেই নিক্ষেপ করা সম্ভব।
'তিনি যদি এই সিদ্ধান্তে নিয়ে অগ্রসর হন, তবে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন এক সংঘাতে জড়িয়ে পড়বে—ইরানের বিরুদ্ধে এমন এক যুদ্ধ, যেটি ট্রাম্প তার দুই নির্বাচনি প্রচারণাতেই এড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন,'—এমনটা লিখেছেন ডেভিড ই. স্যাঙ্গার ও জনাথন সোয়ান।
তবে প্রতিবেদনটি 'বিশ্লেষণ' বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে, সংবাদ হিসেবে নয়। আর এতে সম্ভাব্য ওই হামলার পরিকল্পনা নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট সূত্রের উল্লেখও নেই।
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে নিয়ে কানাডায় অনুষ্ঠিত জি৭ সম্মেলন ছেড়েছেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার পর্যন্ত তার সম্মেলনে থাকার কথা ছিল।
দেশে ফিরেই জাতীয় নিরাপত্তা টিমের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করা রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ সাংবাদিকদের বলেছেন, ট্রাম্প অন্যান্য নেতাদের জানিয়েছেন, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। সেজন্যেই আগেভাগে কানাডা ছেড়েছেন ট্রাম্প।
অন্যদিকে ফক্স নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প তার নিরাপত্তা টিমকে জরুরি ভিত্তিতে হোয়াইট হাউসের 'সিচুয়েশন রুম'-এ যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
কয়েক ঘণ্টা আগে, ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যাল-এ এক পোস্টে তেহরানের সব বাসিন্দাকে শহর ছাড়তে বলেন।
সোমবার ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ইরানিদের অবিলম্বে তেহরান খালি করার হুঁশিয়ারি দেন।
ট্রাম্প লেখন, সবাইকে এখনই তেহরান ছাড়তে হবে। তার এই আকস্মিক হুঁশিয়ারি আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
ওই পোস্টে ট্রাম্প বলেন, 'আমার প্রস্তাবিত চুক্তি ইরান মেনে নিলে আজকের প্রাণহানি এড়ানো যেত। এটা দুঃখজনক ও অনর্থক প্রাণহানি। পরিষ্কার করে বলছি, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে পারে না। আমি বারবার এটা বলেছি!'
এমআই