চবি প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শতভাগ আবাসন, চাকসু নির্বাচন এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারসহ ৭ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
রবিবার (২৯ জুন) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।
শাখা ছাত্রশিবিরের অর্থ সম্পাদক হাফেজ মুজাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে ২০২৪-২৫ সেশনের শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো এই শিক্ষার্থীদের আবাসন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নেই নূন্যতম কোনো পদক্ষেপ ও পেরেশানি। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ক্যাম্পাস হয়েও স্বায়ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সবচেয়ে কম আবাসন সুবিধা পাচ্ছে চবি শিক্ষার্থীরা। প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীই আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
তিনি আরও বলেন, চাকসু শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সবচেয়ে বলিষ্ঠ ও কার্যকর প্লাটফর্ম। কিন্তু বিগত ৩৬ বছর ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের সেই ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। চাকসু সচল না থাকায় শিক্ষার্থীদের আশা-আকাঙ্ক্ষাগুলো প্রতিফলিত হয়নি দীর্ঘ সময়েও। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিবছর চাকসু নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও গত ৫৮ বছরে হয়েছে মাত্র ৬টি নির্বাচন। প্রশাসনকে জানাতে চাই— গড়িমসি না করে ৩৬ জুলাই এর মধ্যে চাকসু নির্বাচন বাস্তবায়ন করতে হবে।
এ সময় চবি সংস্কারে সাত দফা সংক্রান্ত পুস্তিকা পাঠ করেন শাখা সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী। দাবিগুলো হলো— শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করতে হবে এবং আবাসন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অনাবাসিক সকল শিক্ষার্থীকে আবাসন ভাতা প্রদান করতে হবে, সকল বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে অনতিবিলম্বে সেশনজট নিরসন এবং শিক্ষার আধুনিকায়ন নিশ্চিত করতে হবে, পর্যাপ্ত ও নিরাপদ যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে, অনতিবিলম্বে চাকসু নির্বাচন দিতে হবে, দ্রুত সময়ের মধ্যে টিএসসি স্থাপন, সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম নির্মাণ, কেন্দ্রীয় মসজিদ পুনর্নির্মাণ এবং আবাসিক হল ও অন্যান্য স্থাপনাসমূহ সংস্কার করতে হবে, জুলাই বিপ্লব ও ফ্যাসিবাদী শাসনামলে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত শিক্ষার্থীদের স্থায়ী বহিষ্কার এবং জড়িত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করতে হবে এবং বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে অবৈধ নিয়োগের সাথে জড়িত সকলের বিচার এবং নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরিচ্যুত করতে হবে।
এতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম, সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী, দপ্তর সম্পাদক হাবিবুল্লাহ খালেদ, প্রচার সম্পাদক ইসহাক ভূঁঞা, অর্থ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, শিক্ষা সম্পাদক মোহাম্মদ পারভেজ প্রমুখ।
এমআই