সময় জার্নাল ডেস্ক : নির্বাচনে নিরঙ্কুশ পরাজয়ের পর ক্ষমতা ছাড়তে টালবাহানা শুরু করে মায়ানমার জান্তা। যদিও পার্লামেন্টে তাদের সংরক্ষিত আসন রয়েছে পাশাপাশি প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদ ও তাদের দখলে থাকার কথা।
কিন্তু সু'চি সরকারের বিশাল বিজয় এবং সংবিধান পরিবর্তনের আভাসে জান্তা সরকারকে ভীত করে তুলে। যার ফলে অবশেষে সামরিক ক্যু সংগঠিত হয়। সামরিক শাসিত সরকার মায়ানমারের জন্য সাধারণ ব্যপার হলেও এবার পরিস্থিতি পুরোপুরি ভিন্ন। রাস্তায় নেমেছে হাজারো মানুষ। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ফলে দিনদিন চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পশ্চিমা দেশগুলো থেকে আসছে নতুন নতুন নিষেধাজ্ঞা। আর এরকম চলতে থাকলে যদি ক্ষমতা ছাড়তেই হয় তাহলে সামরিক বাহিনী হবে পুরোপুরি পরাজিত। থাকবেনা ন্যূনতম ক্ষমতা। হয়তো হতে হবে বিচারের মুখোমুখি। কারণ গণতান্ত্রিক সরকার অবশ্যই চাইবে বিশ্বে ভাবমূর্তি ফিরিয়ে এনে ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিতে। এজন্য হয়তো উচ্চ পর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক আদালতে পাঠাতে হবে।
এইসকল হিসাব মাথায় নিয়ে জান্তা সরকার কানাডার একটি ফার্মকে লবিস্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। ইজরায়েলের সাবেক গোয়েন্দা দিয়ে পরিচালিত সেই ফার্মের কাছে মায়ানমার সামরিক অফিসাররা চুক্তি করেছে। জান্তা সরকার বলেছে তারা পশ্চিমাদের সাথে ভালো সম্পর্ক চায়। সেজন্য তারা চীনকে ছাড়তে প্রস্তুত। এছাড়াও মুসলিম বিশ্বে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ও ফেরত নিতে তারা সম্মত।
এর পাশাপাশি অফিসাররা রাজনীতি থেকেও বের হয়ে আসতে চায়। এর বিনিময়ে অফিসারদের দাবি হচ্ছে, পশ্চিমারা যেন তাদের (অফিসারদের) ব্যবসা ও সম্পদের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। সুতরাং বুঝাই যাচ্ছে অফিসাররা এখন এতটাই ভীত যে, তারা নিজেদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পশ্চিমাদের আঁতাত চাচ্ছে।
কিন্তু গুটি কয়েক অফিসারদের কথায় কি পশ্চিমা বিশ্ব মায়ানমারে প্রবেশ করতে পারবে?? যেখানে চীনের শিকড় রয়েছে শতবর্ষ যাবৎ।
সময় জার্নাল/এমআই