নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ও পাথর মেরে হত্যা করা হয়েছে। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ ও নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (১১ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই পৈশাচিক ঘটনা কেবল একটি জীবনহানিই নয়- এটি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, নাগরিক অধিকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গভীর হতাশার বহিঃপ্রকাশ। আমাদের সংগঠনের নীতি, আদর্শ ও রাজনীতির সঙ্গে সন্ত্রাস এবং বর্বরতার কোনো সম্পর্ক নেই। অপরাধী যেই হোক, তার স্থান কখনোই আইন ও ন্যায়বিচারের ঊর্ধ্বে হতে পারে না।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর উল্লিখিত নির্মম ঘটনাটি দেশের মানুষের বিবেককে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে। প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত পৈশাচিক ও ন্যক্কারজনক ঘটনাটির দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হলে বিচারহীনতার সংস্কৃতি আমাদের সমাজকে আরও গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত করবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, উল্লিখিত ঘটনাটির অবিলম্বে নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত নিশ্চিত করুন। প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন।
এর আগে গত বুধবার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে নৃশংস এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এসময় ভাঙারি ব্যবসায়ী চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগকে পিটিয়ে ও ইট-পাথর দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে বিবস্ত্র করে আবারও তাকে পাথর মারা হয়। এভাবেই হত্যা করা হয় সোহাগকে।
নারকীয় এ হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দেন চকবাজার থানা যুবদলের সদস্য সচিব পদপ্রার্থী মাহমুদুল হাসান মহিন এবং একই থানার ছাত্রদলের সদস্য সচিব অপু দাস। চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
একে