চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঘরে বন্যার পানি উঠার পর অন্যত্র আশ্রয় নেয়ার সুযোগে স্থানীয় মাদকসেবীরা তালা ভেঙ্গে ঘরটিকে মাদকের আড্ডাখানা বানিয়েছে। টের পেয়ে প্রতিবাদ করায় হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে মুন্সিরহাট ইউনিয়নের ছাতিয়ানী গ্রামের সৈকত পাড়ায়।
সোমবার (২৮ জুলাই) অভিযোগের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক বটন কান্তি চেং।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ডাকাতিয়া নদী তীরবর্তী নীচু ঘরবাড়ি গুলোতে পানি উঠে। ছাতিয়ানী গ্রামের সৈকত পাড়ার আবদুল মান্নানের ঘরে পানি উঠায় তারা ২০ জুলাই থেকে পাশ্ববর্তী বাড়িতে আশ্রয় নেয়। খালি ঘরে থাকার জন্য সিলেট থেকে আবদুল মান্নানের ছোট ছেলে রুহুল আমীনকে ডেকে আনা হয়। গত ২৬ জুলাই রাতে রুহুল আমিন একা নিজেদের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় পাশ্ববর্তী বাড়ির মৃতঃ শফিকুর রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম ও সোহাগের নেতৃত্বে একদল মাদকসেবী রুহুল আমিনকে দরজা খুলতে ডাকাডাকি করতে থাকে। দরজা না খোলায় ধারালো অস্ত্রের দ্বারা কুপিয়ে দরজা ভেঙ্গে রুহুল আমিনকে এলোপাতাড়ি মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর তারা ঘরের ভেতর অবস্থান করে। মারধরে রুহুল আমিনের চিৎকার শুনে পরিবারের অন্যরা ছুটে এলে অভিযুক্তরা পথে আটকিয়ে মারধর করে। রুহুলের আমিনের বোন শারমিন আক্তারকে শ্লীলতাহানি ও তার কান থেকে স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
আবদুল মান্নানের স্ত্রী মোসাঃ ফিরোজা বেগম বলেন, সন্ত্রাসীরা আমার ঘরে ঢুকে মাদক সেবন করে। বাঁধা দেয়ায় পাশ্ববর্তী লাঙ্গলকোট উপজেলার রায়কোট গ্রাম থেকে ১০-১৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে এসে আমার ছেলেকে মারধর করে ও লুটপাট করে। অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা সত্য নয়। মাদক বিক্রিতে বাঁধা দেয়ায় তাদের সাথে আমাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে’।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কেউ অন্যায়ভাবে কারো বাড়ি দখল বা মাদক সেবন করলে তাদের ব্যাপারে কোন ছাড় নয়। প্রকৃত দোষীদেরকে চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
একে