ডিআইইউ প্রতিনিধি:
ক্ষতিপূরণের দাবিতে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) শিক্ষার্থী বহনকারী একটি বাস আটক করেছেন এক রিকশাচালক। তবে ঘটনাটির পেছনে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থাকার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি পার হয়ে গোকার্টের সামনে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, হঠাৎ করে এক রিকশাচালক ও ডিআইইউর ৬ নম্বর বাসের চালক মাহবুব মিলে ৩ নম্বর বাসটির গতি রোধ করে থামিয়ে দেন।
জানা যায়, গত ২০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়টির একটি বাসের ধাক্কায় এক রিকশার সামান্য ক্ষতি হয়। ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার ক্ষোভ থেকে আজ ওই রিকশাচালক বাস আটকান। তবে অভিযোগ আছে, বাসটির লাইনম্যান আনোয়ারের সঙ্গে চালক মাহবুবের আগে থেকেই দ্বন্দ্ব ছিল। অনেকেই জানান, আনোয়ারের ব্যবহার ভালো নয়। অন্যদিকে, কিছুদিন ধরে নষ্ট থাকায় মাহবুব নিজের ৬ নম্বর বাস চালাতে পারছিলেন না। আজ ৩ নম্বর বাসে আনোয়ার থাকায় সুযোগ বুঝে রিকশাচালকের সঙ্গে মিলে বাস আটকে দেন তিনি।
এসময় বাসের লাইনম্যান আনোয়ার ও রিকশাচালকের মধ্যে হাতাহাতি হয়। খবর পেয়ে পরিবহন ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা এক শিক্ষক ঘটনাস্থলে গিয়ে সমাধানের চেষ্টা করেন।
লাইনম্যান আনোয়ার অভিযোগ করেন, “এটি সাজানো ঘটনা। আমাকে মারার জন্যই পরিকল্পনা করা হয়েছে। রিকশাচালককে আমি চিনি না। মাহবুব আগে থেকেই ক্ষোভ পুষে রেখেছিল।”
অন্যদিকে রিকশাচালকের দাবি, “আমার রিকশায় ধাক্কা দিয়ে ক্ষতি করেছে, কিন্তু ক্ষতিপূরণ দেয়নি। উল্টো আমাকে মারধর করেছে। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।”
ডিআইইউ পরিবহন কমিটির আহ্বায়ক ও সহকারী অধ্যাপক মো. নাসিমুজ্জামান খান বলেন, “মাহবুব তার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছে। আমরা উভয় পক্ষকে বসিয়ে সমঝোতা করেছি। রিকশার ক্ষতি হয়ে থাকলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। শুধু ড্রাইভার হওয়ায় কাউকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই।”
তিনি জানান, মাহবুব বর্তমানে ৬ নম্বর গাড়ির চালক, যা কিছুদিন ধরে নষ্ট থাকলেও শিগগির চালু হবে এবং তার চাকরি স্থায়ী করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। ড্রাইভারদের গুরুত্ব তুলে ধরে নাছিম আহম্মেদ বলেন, “সমাজে যেমন মুচিদের অবমূল্যায়ন করা হয়, তেমনি ড্রাইভারদেরও গুরুত্ব দেওয়া হয় না। অথচ আমাদের সন্তানদের নিরাপদ যাতায়াতে তাদের অবদান অপরিসীম।”
এমআই