জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বড়গাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে তালা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার আগে ওই ইউপি চেয়ারম্যান ফইজুলকে চেয়ার ছাড়তে সাত দিনের আল্টিমেটাম দেন বিএনপির এক নেতা। স্থানীয় ও গ্রাম পুলিশের ভাষ্য, এই আল্টিমেটামের পর বিএনপির নেতাকর্মীরাই তালা ঝুলিয়েছেন। সবশেষ গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে সেই তালা ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন।
রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অফিস ত্যাগ করার পর সেখানে তালা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে থাকা গ্রাম পুলিশ সদস্যরা জানান, রোববার অফিস করেছিলেন ফাইজুল চেয়ারম্যান। দুপুরের দিকে তিনি অফিস ত্যাগ করে। এরপর একদল লোক এসে অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খায়রুল ইসলাম। এ সময় তিনি ইউপি পরিষদে দায়িত্বরত গ্রাম পুলিশ সদস্যদের তালা ভাঙতে নির্দেশ দেন।
এ ঘটনার আগে ও পরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
গ্রাম পুলিশের সুবেদার খাদেমুল ইসলাম বলেন, রোববার দুপুরের পর এক দেড়শ’লোক এসে চেয়ারম্যানের অফিসে তালা দেয়। যারা এসেছিলেন তারা বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মী।
সম্প্রতি সময়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে চেয়ার ছাড়ার জন্য সাতদিনের সময় দেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা সভাপতি আব্দুল হামিদ। এ সময় তিনি যুবদলকে ইউপি কার্যালয় ঘেরওয়ের নির্দেশ দেন। পরে এমন বার্তার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পরপরই ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে তালা দেওয়ার ঘটনা ঘটলো।
তবে তালা দেওয়ার ঘটনায় বিএনপি কেউ জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন বড়গাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো.মাহফুজার রহমান। তিনি বলেন, বিএনপির কেউ চেয়ারম্যানে কার্যালয়ে তালা দেয় নি। বরং আওয়ামী লীগের দোসর ওই চেয়ারম্যানের কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে বিক্ষুব্ধ জনগণ এমনটা করেছে।
সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খাইরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, খবর পেয়ে পরিষদে এসে দেখি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে তালা দেওয়া। তবে নির্দিষ্ট করে কে বা কারা তালা দিয়েছে তা কেউ বলতে পারছেন না। স্থানীয়রা ও পরিষদের মেম্বাররা কর্মরত ওই চেয়ারম্যানের নামে কিছু অভিযোগ করেছেন। আমরা অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে আইনি ব্যবস্থা নেব। চেয়ারম্যান দোষী হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তা না হলে তিনি আগের মতো পরিষদের কার্যক্রম চলিয়ে যাবেন। আমরা মূলত সাধারণ জণগণের বিষয়টি গুরুত্ব দেব। জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে সেবা পাই।
একে