মোঃ সোয়াইব সরকার সৌরভ: 'ধলাপাহাড়' হাটের সবচেয়ে বড় গরু। চুয়াডাঙ্গার বেপারী কবিল উদ্দিন ফিজিয়ান জাতের এই গরুটির দাম হাঁকিয়েছেন ৮ লাখ টাকা, ক্রেতারা অবশ্য ৪ লাখের বেশি এখনো বলেনি। তবে বেপারী আশাবাদী, তিনি তার চাওয়া দামেই গরুটি বিক্রি করতে পারবেন। বাহারি নাম আর রঙের গরুতে ইতোমধ্যে জমজমাট হয়ে উঠেছে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ধোলাইখাল পশুর হাট।
২১ জুলাই দেশব্যাপী মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা পশু উৎসর্গের মাধ্যমে পালিত হবে। সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় মতো পুরান ঢাকার ধোলাইখালে বসেছে বিরাট পশুর হাট। এবারের হাটটি ধোলাইখাল হতে নয়াবাজার-তাতিবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে খামারী ও বেপারীরা নানা আকারের গরু এ হাটে তুলেছে। বাহারি তাদের রঙ আবার 'ধলাপাহাড়' এর মত কারো কারো বাহারি নামও রয়েছে। ৬০ হাজার থেকে শুরু করে ৮ লাখ, হাটে সব রকম ক্রেতার জন্য সব রকম দামের গরু উঠেছে হাটে। হাটে ক্রেতাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করার মতো। তারা পছন্দমত গরু দরদাম করে খুশি মনে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে।
এবার হাটে দেশি গরুর প্রাধান্যই বেশি। কিছু অস্ট্রেলিয়ান আর ফিজিয়ান গরু থাকলেও ইন্ডিয়ান গরু নাই বললেই চলে। কারণ কোভিড -১৯ এর জন্য সরকার এবছর সীমান্ত বন্ধ করে দেয় এবং ভারতীয় গরু আনার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এতে অবশ্য আমাদের দেশের প্রান্তিক খামারিরা ও বেপারীরা খুশি কারণ তারা এবার আশা করছে ভারতীয় গরু না থাকাতে তারা এবছর অন্যান্য বছরের চেয়ে ভালো মুনাফায় বিক্রি করতে পারবে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার খামারী মুক্তার হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন "সরকার বর্ডার বন্ধ করাতে আমরা বেজায় খুশি। ইন্ডিয়ান গরু এবার দেশে আইতে পারেননাই দেইখা আমরা দেশি খামারিরা ২ টা টেকা বেশি পামু এবছর।" তিনি সরকারের কাছে এ ও দাবি জানান, যেন সরকার প্রতিবছর ঈদের সময় ইন্ডিয়ান গরু আসা বন্ধ করে দেয়।
দেশে কোভিড-১৯ চললেও গরুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা তেমন কাউকেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। বেশিরভাগের মুখে মাস্কও ছিলোনা। আর শহরের মধ্যে হওয়ায় হাটটি ধোলাইখাল রাস্তার উপর রাস্তার দুই পাশে বসেছে। এতে রাস্তায় জানজটের সৃষ্টি হচ্ছে কিন্তু ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র ঈদের জন্য তা হাসিমুখেই মেনে নিয়েছে।
সময় জার্নাল/এমআই