বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

কাশির জন্য ভুল ওষুধ খাচ্ছেন না তো?

শুক্রবার, জুলাই ১৬, ২০২১
কাশির জন্য ভুল ওষুধ খাচ্ছেন না তো?

ডা. নাজিরুম মুবিন: বাংলাদেশ এখন করোনাভাইরাস মহামারীর এক সংকটকাল অতিক্রম করছে। ঘরে ঘরে এখন জ্বর, কাশির রোগী। সংক্রমণের ভয়ে অনেকে ডাক্তারের কাছে যাচ্ছেন না। ওষুধের দোকান থেকে কাশির ওষুধ কিনে খাচ্ছেন। ভাগ্য ভালো হলে সঠিক ওষুধ পাচ্ছেন। উপসর্গের উপশম হচ্ছে। আর ভাগ্য খারাপ থাকলে ভুল ওষুধে রোগীর কষ্ট আরো বেড়ে যাচ্ছে।

কেন এই ভুল হয়?

কাশিকে মোটা দাগে আমরা দুইভাগে ভাগ করতে পারি -

১. শুকনো কাশি বা Dry Cough
২. কফযুক্ত কাশি বা Productive Cough 

শুকনো কাশির মূল কারণ অ্যালার্জি। আবার যেকোন ভাইরাস জ্বর কিংবা সর্দি জ্বর  ভালো হবার পর ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত শুকনো কাশি থাকতে পারে। ঠান্ডাজনিত কাশিও অ্যালার্জির কারণে হয়ে থাকে। আর কফযুক্ত কাশির কারণ মূলত ইনফেকশন বা সংক্রমণ।

শুকনো কাশির চিকিৎসা হলো কাশি বন্ধ রাখা আর কফযুক্ত কাশির চিকিৎসা হলো কফ পাতলা করে কাশির মাধ্যমে বের করে দেওয়া।

এখন কফযুক্ত কাশির রোগীকে যদি শুকনো কাশির ওষুধ দেওয়া হয় তাহলে কফগুলো রোগীর শ্বাসনালীতে জমা থেকে যাবে ফলে রোগীর কষ্ট আরো বেড়ে যাবে এবং কাশি দীর্ঘস্থায়ী হবে। এবং বিপরীতক্রমেও রোগীর কষ্ট বেড়ে যাবে।

আমরা প্রতিদিনই এরকম অনেক রোগী পাচ্ছি যারা কাশির ভুল ওষুধ খেয়ে আরো ভোগান্তিতে পড়েছেন। তাই কাশিতে সঠিক ওষুধ নির্বাচন খুব জরুরি।

কাশির ওষুধকেও দুইটি ভাগে ভাগ করা যায়-

1) Cough Suppressant / Anti Tussive
2) Cough Expectorant / Mucolytic

যেসব ওষুধ দিয়ে মস্তিষ্কের কাশির জন্য নির্ধারিত অংশকে অবদমিত করে রাখা হয় সেই সব ওষুধকে Anti Tussive বা Cough Suppressant বলে। শুকনো কাশির ক্ষেত্রে এই Cough Suppressant ব্যবহার হয়ে থাকে।

উদাহরণঃ

ডেক্সট্রোমেথরফ্যানঃ  সিরাপ ব্রোফেক্স নামে বাজারে পাওয়া যায়
বিউটামিরেটঃ  সিরাপ মিরাকফ, অ্যাসকোরেল, বিউকফ নামে বাজারে পাওয়া যায়

আবার অ্যালার্জিজনিত শুকনো কাশিতে Cough Suppressant সিরাপের পাশাপাশি অ্যান্টি হিস্টামিন ট্যাবলেটও  cough suppressant হিসাবে ব্যবহার করা হয়।  তবে এক্ষেত্রে ওষুধ কাজ করতে সপ্তাহখানেক সময় নেয়।

উদাহরণঃ ফেক্সোফেনাডিনঃ ট্যাবলেট ফেক্সো, ফেনাডিন, টেলফাস্ট, ফাস্টেল নামে বাজারে পাওয়া যায়।

যেসব ওষুধ দিয়ে শ্বাসনালীতে জমে থাকা ঘন কফকে ভেঙ্গে পাতলা করে বাইরে বের করে আনা হয় তাদেরকে Mucolytic বা Cough Expectorant বলে। কফযুক্ত কাশিতে এই ওষুধ ব্যবহৃত হয়।

উদাহরণঃ

অ্যামব্রোক্সলঃ সিরাপ অ্যামব্রোক্স নামে বাজারে পাওয়া যায়
ব্রোমহেক্সিনঃ সিরাপ মিউকোলাইট, মিউকোস্পেল নামে পাওয়া যায়
অ্যাসিটাইলসিস্টিনঃ ট্যাবলেট মিউকোমিস্ট, টাইলেস, ভিসকোটিন নামে বাজারে পাওয়া যায়।

একটা বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন, এইসব কিছু কাশির উপসর্গজনিত চিকিৎসা। এবং ওষুধগুলো সব ওভার দ্যা কাউন্টার ওষুধ অর্থাৎ এই ওষুধগুলো কেনার জন্য আপনার কোন প্রেসক্রিপশনের প্রয়োজন হবে না। তবে কাশির পিছনের কারণের চিকিৎসার জন্য আপনাকে অতি অবশ্যই একজন এমবিবিএস চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে৷ যেমন কাশির কারণ যদি নিউমোনিয়া হয় তাহলে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা না করলে রোগী সুস্থ হবে না।
এই লেখার মূল উদ্দেশ্য শুকনো কাশিতে শুকনো কাশির ওষুধ খাওয়া এবং কফযুক্ত কাশিতে তার জন্য নির্ধারিত ওষুধ খাওয়া। উলটো ওষুধ খেয়ে রোগীর কষ্ট যেন না বাড়ে।

সময় জার্নাল/এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল