মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন, হাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় এলজি ইলেক্ট্রনিক্স এর পক্ষ থেকে ২৭ জন হত দরিদ্র পরিবারের মাঝে ০২ টি করে মোট ৫৪ টি ছাগল বিতরণ করা হয়। রবিবার ০৭ ই সেপ্টেম্বর তেঁতুলিয়া উপজেলার ইকো মহানন্দা কটেজে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আলোচনাসভা ও ছাগল হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে দিনাজপুর হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো: আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন এল জি বাংলাদেশের কর্পোরেটের মার্কেটিং আ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার কাজী ফয়সাল -আল-আহসান , বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাও সরকারি কলেজের অব: অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল খায়ের মো: আব্দুল মজিদ।
এসময় বক্তারা বলেন, যে পরিবারগুলো আর্থিক দিক থেকে দীর্ঘ দিন ধরে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন, তাদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য এবং তাদের জীবনে নতুন সম্ভবনার দরজা খোলার জন্য এই ছাগলগুলো প্রদান করা হয়। পাশাপাশি উপকারভোগী পরিবার গুলোকে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে এই ছাগল গুলো। যার মাধ্যমে পরিবারগুলোতে নতুন সুচনার উন্মোচন হবে।
হাবিপ্রবি'র শিক্ষার্থী ফেরদৌস হাসানের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন এলজি অ্যাম্বাসিডর চ্যালেঞ্জ- প্রোগ্রাম ২০২৫ এর অ্যাম্বাসিডর, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হারুনুর রশিদ। আরও বক্তব্য রাখেন উপকারভোগী আনোয়ারা বেগম ও অ্যাম্বাসেটর হারুন অর রশিদ বাবা আবুল হোসেন।
আয়োজনের পেছনের গল্প তুলে ধরে হারুন অর রশিদ বলেন, আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই LG Electronics–কে। তাদের সহায়তা ছাড়া আজকের এই প্রজেক্ট “উজ্জীবন” সম্ভব হতো না। আমার একজন সমাজসেবক হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রথম পদক্ষেপে এলজি ইলেকট্রনিকস যে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, সেটি আমার জীবনের জন্য এক অবিস্মরণীয় উপহার।
আজকের এই যাত্রার সূচনা হয়েছিল গত ফেব্রুয়ারিতে, যখন আমি আমার একাডেমিক গবেষণার কাজে তেঁতুলিয়াতে আসি। পাথর উত্তোলনকারী শ্রমজীবী মানুষদের জীবনযাত্রা যত গভীরভাবে জানতে পেরেছি, ততই তাদের জন্য কিছু করার ইচ্ছে জাগতে থাকে। অনিশ্চিত কাজ, স্বাস্থ্যঝুঁকি, আর সীমান্তে নানা প্রতিবন্ধকতা—সব মিলিয়ে তাদের জীবন সত্যিই কঠিন।
ঠিক সেই সময় আমার প্রিয় সুপারভাইজার আব্দুর রশীদ পলাশ স্যার আমাকে LG Ambassador 2025–এর পোস্ট দেখিয়ে প্রপোজাল জমা দিতে উৎসাহিত করেন। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার প্রপোজাল অনুমোদিত হয় এবং আমি এই প্রজেক্টটি বাস্তবায়নের সুযোগ পাই।
আজ “প্রজেক্ট উজ্জীবন”-এর মাধ্যমে আমি ২৭ টি পরিবারে ৫৪ টি ছাগল বিতরণ করতে পারছি। হয়তো এর মাধ্যমে একটি পরিবার একটু স্বচ্ছল হবে, কেউ তার সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে পারবে, কেউ চিকিৎসার খরচ চালাতে পারবে। এই পরিবর্তনগুলোই সমাজকে আলোকিত করবে, ইনশাআল্লাহ।
অনুষ্ঠানে উপকারভোগী ২৭ টি পরিবারের সদস্য বৃন্দ, দিনাজপুর হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
এলজি অ্যাম্বাসিডর চ্যালেঞ্জ- প্রোগ্রামের আওতায় প্রকল্প “ প্রজেক্ট উজ্জীবন” এর মাধ্যমে ইথিকাল স্যোশাল রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ উক্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে আসছে।
এমআই