বেরোবি প্রতিনিধি :
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদানের ক্ষেত্রে তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠেছে মো. তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। অভিযোগ করা হয়েছে, চাকরিরত অবস্থায় আবেদন করলেও তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, তৌহিদুল ইসলাম কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডে কর্মরত ছিলেন। তিনি ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট সহকারী ব্যবস্থাপক (অর্থ ও হিসাব) পদে যোগদান করেন এবং একই বছরের ৩১ আগস্ট রাজস্ব উত্তর বিভাগের বৃহৎ শিল্প শাখায় পদায়িত হন। পরবর্তীতে চাকরি ছাড়ার জন্য ২০২৩ সালের ২ অক্টোবর মহাব্যবস্থাপক বরাবর ইস্তফা জমা দেন। কিন্তু এর মাত্র একদিন পর, ৩ অক্টোবর তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির (৬ নম্বর বিজ্ঞাপন) ৩ নম্বর শর্তে স্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল— চাকরিরত প্রার্থীদের অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। কিন্তু তৌহিদুল ইসলাম আবেদনপত্রে পূর্বের চাকরির বিষয়টি উল্লেখ করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কয়েকজন শিক্ষক (পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, আবেদন করার সময় প্রার্থী পূর্বের চাকরির তথ্য গোপন করেছিলেন। এ কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিয়ম ভঙ্গ ও তথ্য গোপনের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে প্রভাষক মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, তিনি ২০২২ সালের আগস্টে কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানিতে যোগ দেন। তখন প্রবেশন পিরিয়ডে থাকায় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই আবেদন করার সুযোগ ছিল। ২০২৩ সালের এপ্রিলে চাকরি স্থায়ী হওয়ার পরও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইভা বোর্ডে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন। পরে কর্ণফুলী থেকে যথাযথভাবে ইস্তফা দিয়ে ছাড়পত্র জমা দেন। তার দাবি, “সব কাগজপত্র ও প্রমাণাদি জমা দেওয়া আছে, তাই অভিযোগের কোনো যৌক্তিকতা নেই।”
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (উপাচার্যের রুটিন দ্বায়িত্বরত) ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, “এ বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে এমন যদি কোনো অভিযোগ উঠে থাকে তবে তার সত্যতা যাচাই করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এমআই