হাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
গত মঙ্গলবার (৯ই সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আবু হাসান স্বাক্ষরিত ৭৯ জন হামলাকারীর তালিকা সম্বলিত একটি বিজ্ঞপ্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। যেখানে নিরপরাধ ও জুলাই যোদ্ধাদের নাম আসায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ৷
প্রকাশিত এই তালিকায় জুলাই যোদ্ধাদের মধ্যে ১ জন হাবিপ্রবি শাখা ছাত্রশিবিরের দাওয়াহ সম্পাদক আরিফ হোসেনের নামও দেখা যায়। যা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
এসময় সংগঠনটির সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক বলেন, “গতবছর ১৬ জুলাই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর বর্বর হামলা চালায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। আজাদী পাওয়ার পর আমরা বিচার আশা করেছিলাম। কিন্তু এক বছরেও হামলাকারীদের বিচার হয়নি। বরং আন্দোলনের পক্ষে থাকা আরিফ হোসেনের নাম তালিকায় এসেছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।”
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, "তালিকায় প্রকৃত হামলাকারীদের অনেকের নাম নেই , বরং নিরপরাধ আন্দোলনকারীদের নাম যুক্ত করা হয়েছে। হাবিপ্রবি ছাত্রশিবির এর তীব্র নিন্দা জানায়।"
ভুক্তভোগী ও হাবিপ্রবি ছাত্রশিবিরের দাওয়াহ সম্পাদক আরিফ হোসেন বলেন, “আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে কাজ করেছি। ফ্যাসিস্ট আমলে ছাত্রশিবির করার কারণে আমাকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায়, আমি কারাবরণ করেছি। এখন আমার নাম হামলাকারীর তালিকায় দেখে আমি হতবাক। প্রশাসনের এমন কর্মকান্ডে আমার মানহানি হয়েছে। প্রশাসনকে এর জবাব দিতে হবে, প্রয়োজনে আমি আইনি ব্যবস্থা নেব।”
হামলার সাথে সংশ্লিষ্ট না থেকেও তালিকায় নাম আসায় রসায়ন ২০১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মামুন ওয়াসি তার জুলাইয়ে সক্রিয়তার ছবি ও স্ক্রিনশট দিয়ে তাৎক্ষণিক ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেন- "আমি হামলাকারী, এটার প্রমাণ কি জুলাই এর এগুলোই ছিল?" এর প্রেক্ষিতে তার ব্যাচ, ডিপার্টমেন্ট ও জেলা সমিতি তার পক্ষে বিবৃতি দেয়।
হামলাকারীর তালিকায় জুলাই যোদ্ধা ও নির্দোষদের নাম আসার বিষয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আবু সাঈদ মন্ডলের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “একাধিক ব্যক্তির নাম এক হওয়ায় ভুল হতে পারে । আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ রয়েছে , পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই করে আবারও তালিকা প্রকাশ করা হবে ।”
ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. এস. এম. এমদাদুল হাসান বলেন, “যারা মনে করছেন তারা নিরপরাধ, দ্রুত লিখিতভাবে জানালে আমরা পুনঃনিরীক্ষণ করে ব্যবস্থা নেব।”
একে