শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

শিল্প-কারখানা লকডাউন নির্দেশনামুক্ত রাখার দাবি এফবিসিসিআই’র

রোববার, জুলাই ১৮, ২০২১
শিল্প-কারখানা লকডাউন নির্দেশনামুক্ত রাখার দাবি এফবিসিসিআই’র

সময় জার্নাল ডেস্ক :

উৎপাদন প্রক্রিয়া সচল রাখতে ঈদ পরবর্তী কঠোর লকডাউনের মধ্যে শিল্প-কারখানাকে বিধি-নিষেধের বাইরে রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)।

রোববার এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মো: জসিম উদ্দিন বলেন,কোভিডজনিত বিধি-নিষেধের আওতায় সকল প্রকার শিল্প-কারখানা বন্ধ রাখা হলে অর্থনৈতিক কার্যক্রমের প্রাণশক্তি উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ থাকবে এবং সাপ্লাই চেইন সম্পূর্ণভাবে বিঘিœত হবে। এতে উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সকলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। বিশেষ করে, খাদ্য-সামগ্রী, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, বোতলজাত পানীয়, নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্য ইত্যাদি উৎপাদন বন্ধ থাকলে ভোক্তা সাধারণ সমস্যার সম্মুখীন হবেন। পণ্য-সামগ্রী সঠিকভাবে সরবরাহ ও বাজারজাত না হলে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে। এতে স্বল্প আয়ের ক্রেতারা ভোগান্তির শিকার হবেন।   

তিনি দাবি করেন, রপ্তানি খাতের উৎপাদন ব্যবস্থা বন্ধ থাকলে সময়মত পরবর্তী রপ্তানি অর্ডার অনুযায়ী সাপ্লাই দেয়া সম্ভব হবে না। এতে রপ্তানি অর্ডার বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঈদের ছুটিসহ প্রায় ১৮ থেকে ২০ দিন কারখানা বন্ধ থাকলে এক অনিশ্চয়তার মাঝে লেইট সামার, ক্রিসমাস ও বড়দিন এবং আগামী শীতের কার্যাদেশসমূহ হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এক মাসের রপ্তানি শিডিউল বিঘিœত হলে পরবর্তি ছয় মাসের রপ্তানি শিডিউলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সেসাথে উৎপাদন বন্ধ থাকলে আমদানিকৃত কাঁচামাল অব্যবহৃত হয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেন, এর ফলে আমদানিকারক ও উৎপাদক উভয়ই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। 

এদিকে, ক্ষুদ্র ও ছোট কারখানাসমূহ বন্ধ রাখা হলে উদ্যোক্তাগণ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন এবং কারখানাসমূহ পুনরায় চালু রাখা অসম্ভব হয়ে পড়বে। এ অবস্থায় বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, প্লাস্টিক গুড্স ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টারর্স এসোসিয়েশন,বাংলাদেশ টেরি-টাওয়েল ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশনসহ রপ্তানি ও উৎপাদনের সাথে সংশ্লিষ্ট এসোসিয়েশন, চেম্বারসমূহ শিল্প-কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম সচল রাখার বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য এফবিসিসিআইয়ের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে। 

কোভিড বিস্তার রোধে জারিকৃত বিধি-নিষেধ সংক্রান্ত সার্কুলারে ঔষধ কারখানার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা নেই। যদি ঔষধ কারাখানা বন্ধ রাখা হয় তবে জীবন রক্ষাকারী ঔষধ সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হবে। অপরদিকে ট্যানারি কারখানা বন্ধ রাখা হলে কোরবানি ঈদে সংগৃহীত চামড়া সংরক্ষণ কার্যক্রম ব্যাহত হবে।

বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে জীবন রক্ষাকে অবশ্যই অগ্রাধিকার দিতে হবে। কিন্তু উৎপাদন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হলে খাদ্য-পণ্য সহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য থেকে সকলেই বঞ্চিত হবেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্ব ও দিক-নির্দেশনায় বিদ্যমান অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম সচল রয়েছে এবং জাতীয় প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ১ শতাংশ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। যদি উৎপাদন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয় তাহলে অর্থনীতির চলমান গতিধারা ব্যাহত হবে। জীবন ও জীবিকার মধ্যে সমন্বয়ের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উৎপাদন ব্যবস্থাকে চলমান রাখা জরুরি বলে তিনি উল্লেখ করেন।


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল