ইসাহাক আলী, নাটোর প্রতিনিধি:
এনসিপি’র উত্তাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘আমাদের একদম স্পষ্ট লাইন, শাপলা প্রতীক পেতে আইনগত কোনো বাঁধা নেই। তাই এই এনসিপি আগামী নির্বাচনে শাপলা প্রতীক দিয়েই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। অন্য কোন অপশন নাই। আমরা নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করব তারা যেন তাদের স্ট্যান্ডাটের প্রমান দেয়। যে কোন রাজনীতিক দল যেই মার্কাটা নিয়ে একটা ডিগনিটি শো করে, জনগনের কাছে যেতে পারবে ওই ধরনের মার্কা আমরা লিষ্টে যুক্ত করতে বলবো। যে মার্কা গুলো হাসির খোরাক যোগায় সেই মার্কা গুলো বাদ দিতে অনুরোধ করব।
এই নির্বাচন কমিশন যদি তাদের সক্রিয়তা বজায় রাখতে না পারে বা কোন প্রভাবের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমাদের ন্যায় সংগত অধিকারটা না দেয়, এনসিপিকে শাপলা প্রতিক না দেয় , আমরা মনে করি এই কমিশন আগামী নির্বাচনে সম্পূর্ন আস্থা হারিয়ে ফেলে। যে নির্বাচনে কমিশন একটা দলকে মার্কা দেয়ার মেরুদন্ড দেখাতে পারে না। সেই নির্বাচন কমিশনের উপর আমরা কিভাবে আস্তা রাখবো।’ নাটোরে সাংগাঠনিক সফরে এসে এসব কথা বলেন।
সোমবার দুপুরে নাটোর শহরের একটি রেস্তোরায় এক সমন্বয় সভা আয়োজন করেন জেলা কমিটি। সভাটিতে সভাপত্বি করেন নাটোর জেলা প্রধান সমন্বয়ক এস এম জার্জিস কাদির।
এ সময উপস্থিত ছিলেন, বিশেষ অতিথি রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন, সংগঠক ফয়সাল আহমেদ, নাটোর জেলা এনসিপি সিনিয়র যুগ্ন সমন্বয়ক আব্দুল মান্নাফসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নাটোর জেলার নেতাকর্মিরা।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা পার্বত্য জেলা বলতে তিনটি পাহাড়ি জেলাকে বুঝি। এটা বাংলাদেশের অংশ। এটা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের সাথে জড়িত। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের সাথে বিন্দু মাত্র আপোষ করার কোন সুয়োগ নেই। যারা এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে, দেশের ভিতর থেকে হোক অথবা দেশের বাইরে থেকে হোক তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে দেশের জনগন ও সকল রাজনৈতিক দল সহযোগিতা থাকবে। ’
‘আমরা আরো দেখেছি ভারত বিভিন্ন জেলা দিয়ে পুশইন করা চেষ্টা করেছে। ভারতের মিডিয়া গুলো প্রপাগান্ডা মিডিয়া হিসেবে নিজেকে প্রমান করেছে। আমরা মনে করি সরকার এবং রাজনৈতিক দল গুলোকে এই সমস্ত প্রপাগান্ডা প্রতিহত করতে হবে।’
একে