আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার নিয়ে নানা আলোচনা ও জল্পনা-কল্পনা শেষে সম্মাননাটি পেয়েছেন ভেনেজুয়েলার গণতান্ত্রিক অধিকার আন্দোলনের নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেলে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি বিজয়ী হিসেবে মারিয়ার নাম ঘোষণা করে।
বিবিসি বলছে, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য দীর্ঘদিনের সংগ্রামের স্বীকৃতি হিসেবে ভেনেজুয়েলার এই রাজনীতিককে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। তিনি সাম্প্রতিক সময়ে লাতিন আমেরিকার সাহসিকতার অনন্য উদাহরণ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।
নোবেল কমিটি এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘শান্তির সাহসী ও নিবেদিতপ্রাণ যোদ্ধা এমন এক নারীর হাতে ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার যাচ্ছে, যিনি গভীর হতে থাকা অন্ধকারের মাঝেও গণতন্ত্রের শিখা জ্বালিয়ে যাচ্ছেন। ’
মারিয়া মাচাদো গুরুত্বপূর্ণ ঐক্যের প্রতীক হিসেবে কাজ করেছেন উল্লেখ করে কমিটির চেয়ারম্যান ইয়রগেন ওয়াটনে ফ্রিডনেস বলেছেন, মারিয়া ২০ বছরেরও বেশি আগে মুক্ত ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন, অর্থাৎ বন্দুকের বদলে ব্যালট বেছে নিয়েছিলেন।
কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলস প্রচেষ্টা এবং স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে ন্যায়সঙ্গত ও শান্তিপূর্ণ রূপান্তর সাধনে সংগ্রামের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন মারিয়া মাচাদো।
এ বছর প্রতিটি পুরস্কারের অর্থমূল্য হবে ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা বা ১১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯৫ ডলার।
শান্তিতে নোবেলজয়ী মারিয়াও এমন অংকের অর্থ পুরস্কার পাবেন।
ট্রাম্পকে ঘিরে আলোচনা
এবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেতে পারেন বলে গুঞ্জন উঠেছিলে। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও এই পুরস্কার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন বহুবার।
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ কয়েকজন বিশ্বনেতা তাকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেন। কিন্তু শুক্রবার কোনো সুখবর গেল না হোয়াইট হাউসে।
ভারত-পাকিস্তান ও ইরান-ইসরায়েল সংঘাত এবং গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধে মধ্যস্থতা করা ট্রাম্পকে হয়তো আরও অপেক্ষা করতে হবে।
কারণ এই বছরের পুরস্কারের মনোনয়ন জানুয়ারিতেই বন্ধ হয়ে যায়। প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালনও শুরু করেছেন জানুয়ারিতে।
এমআই