নিজস্ব প্রতিবেদক:
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, 'জুলাই যোদ্ধাদেরকে স্বৈরাচারের দোসর বলাটা গুরুতর অসৌজন্যতা হিসেবেই বিবেচিত হবে।'
জুলাই সনদ স্বাক্ষরের দিনে দাবি পূরণে বিক্ষোভে নামা 'জুলাই যোদ্ধাদের' নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের দেওয়া বক্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করে এ কথা বলেন তিনি।
আজ শনিবার বিকেলে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন জামায়াত আমির।
ওই পোস্টে তিনি আরও বলেন, 'দয়া করে দায়িত্বশীল কোন জায়গা থেকে আমরা জীবন বাজি রেখে লড়াই করা জাতির গর্বিত লোকগুলোর ব্যাপারে এমন কথা বলবো না।'
গতকাল শুক্রবার জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে অনুষ্ঠানস্থল সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অবস্থান নেন 'জুলাই যোদ্ধা' নামে কয়েক শ ব্যক্তি। পরে পুলিশ পিটিয়ে তাদের বের করে দেয়। এরপর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষও হয়।
আজ সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সালাহউদ্দিন সেই প্রসঙ্গ তুলে সাংবাদিকদের বলেন, 'যেসব বিশৃঙ্খলা হয়েছে, আমরা খোঁজ নিয়েছি, এটা তদন্তাধীন আছে। দেখা গেছে, এখানে জুলাই যোদ্ধাদের নামে কিছুসংখ্যক ছাত্র নামধারী উচ্ছৃঙ্খল লোক ঢুকেছে। সেটা ফ্যাসিস্ট সরকারের ফ্যাসিস্ট বাহিনী বলে মনে করি। আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা বিভিন্ন ফাঁকফোকরে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে। এখানে কোনো সঠিক জুলাই বা অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত কেউ থাকতে পারে না।'
ফেসবুক পোস্টে কারও নাম উল্লেখ না করে জামায়াত আমির বলেন, 'কেউ এমন আচরণ করলে জাতি তাদেরকে ক্ষমা করবে না। সকল ক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আমরা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবো, ইনশাআল্লাহ।'
এর আগে আজ সকালে সালাহউদ্দিন আহমদের বক্তব্যের 'তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ' জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম তাকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।
নাহিদ বলেন, 'তিনি (সালাহউদ্দিন আহমদ) ভুলবশত, হয়তো তার কাছে তথ্য না থাকার কারণে তিনি এ রকমটা বলেছেন। যেহেতু তিনি দীর্ঘদিন দেশে ছিলেন না। যেহেতু তিনি জুলাই অভ্যুত্থানের সময় দেশে ছিলেন না, রাজপথে ছিলেন না। সেহেতু হয়তো তিনি জানেন না যে কে রাজপথে ছিল, কারা লড়াই করেছিল, কারা বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েছিল?'
এমআই