ইবতেশাম রহমান সায়নাভ, বেরোবি প্রতিনিধি:
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নির্বাচনের আগে গঠনতন্ত্রের ত্রুটিপূর্ণ ধারাগুলো সংশোধনের দাবি জানিয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের। বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর গত ২৮ অক্টোবর ব্রাকসু নীতিমালা অনুমোদিত হলেও এতে বেশ কিছু মৌলিক ত্রুটি রয়েছে, যা ছাত্র সংসদের গণতান্ত্রিক কাঠামো এবং সুষ্ঠু প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে বাধাগ্রস্ত করবে।
নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা ত্রুটিগুলোর মধ্যে রয়েছে—নারী শিক্ষার্থীদের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রতিনিধিত্বের পদ না রাখা, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ও ক্যাফেটেরিয়া বিষয়ক সম্পাদক পদ বাদ দেওয়া, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি-স্বাস্থ্য ও পরিবেশের মতো ভিন্নধর্মী বিষয়কে একই পদে একীভূত করা, ব্রাকসু কাঠামোয় অনাস্থা প্রস্তাবের ধারা যুক্ত করে সংসদের স্বাধীনতা সীমিত করা এবং সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ—দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ একই ব্যক্তির হাতে ন্যস্ত করার বিধান। এছাড়া নীতিমালায় মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদও রাখা হয়নি বলে দাবি করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরও জানান, গত ৩ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কক্ষে উপাচার্যের উপস্থিতিতে মতবিনিময় সভায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী উল্লিখিত ত্রুটিগুলো তুলে ধরে দ্রুত সংশোধনের প্রস্তাব করেন। প্রস্তাবের মধ্যে ছিল—এজিএস পদে নারী প্রার্থীর জন্য সংরক্ষণ বা নারী/ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক পদ সৃষ্টি, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদকসহ লাইব্রেরি ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদ পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ পদ পৃথক রাখা।
বক্তারা বলেন, “আমরা নির্বাচন বানচাল করতে চাই না। বরং শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ, অধিকার ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে একটি স্বচ্ছ, গণতান্ত্রিক ও শিক্ষার্থীবান্ধব ব্রাকসু নির্বাচন চাই।”
তারা আরও বলেন, ছাত্র সংসদ কেবল একটি নির্বাচন নয়; এটি নেতৃত্ব বিকাশ, অধিকার আদায় এবং গণতান্ত্রিক চর্চার গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। তাই নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের মতামত গ্রহণ করা প্রয়োজন ছিল।
সংবাদ সম্মেলনের শেষে তারা ব্রাকসু গঠনতন্ত্রের ত্রুটিগুলো দ্রুত সংশোধন করে শিগগিরই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আহ্বান জানান।
এমআই