নিজস্ব প্রতিবেদক:
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের এক মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আগামী ১৩ নভেম্বর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে 'লকডাউন' কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলটির এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ঢাকার প্রবেশপথ আমিনবাজার এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করছে ঢাকা জেলা পুলিশ।
বুধবার (১২ নভেম্বর) সকাল থেকে চলমান এ তল্লাশি কার্যক্রম এদিন বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্তও অব্যাহত ছিল।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে স্থাপিত চেকপোস্টে ঢাকাগামী গণপরিবহন, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তাদের গন্তব্য ও আগমনের স্থান সম্পর্কে জানতে চাওয়া হচ্ছে।
তল্লাশির সময় যাত্রীদের ব্যাগপত্র ছাড়াও মুঠোফোনের গ্যালারি ঘেঁটে কোনো সন্দেহজনক তথ্য বা উপকরণ পাওয়া যায় কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ সদস্যরা।
এদিকে, মহাসড়কের একপাশে ব্যারিকেড বসিয়ে ও যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি চালানোর কারণে চেকপোস্টসংলগ্ন এলাকায় যান চলাচল কিছুটা ধীরগতির হয়ে পড়েছে।
চেকপোস্টে উপস্থিত সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুয়েল মিয়া বলেন, 'কার্যক্রম নিষিদ্ধ একটি সংগঠনের লকডাউন কর্মসূচীকে ঘিরে আমিনবাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আমাদের এ তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে, পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে আমাদের টহল কার্যক্রমও বাড়ানো হয়েছে এবং এটি আগামীতেও চলমান থাকবে। এছাড়াও কেউ যেন কোনভাবে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে সেই লক্ষ্যে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ব্যাগসহ অন্যান্য মালামাল তল্লাশি করা হচ্ছে।'
চেকপোস্টে যাত্রীদের মোবাইল তল্লাশির পাশাপাশি গ্যালারি কেন দেখা হচ্ছে- এ বিষয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, 'দেখেন অনেকেই আত্মগোপনে থাকে। আবার অনেকে নাশকতা সৃষ্টি করতে চায়। সেক্ষেত্রে আমরা মোবাইল, ব্যাগ বা অন্যান্য জায়গাগুলো চেক করে দেখার চেষ্টা করি নাশকতার কোনো উপকরণ আছে কি না। সবার পারমিশন নিয়ে মোবাইল চেক করা হচ্ছে।'
যদিও যাত্রীদের মুঠোফোন তল্লাশির ক্ষেত্রে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা বা সদস্যদের যাত্রীদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে দেখা যায়নি।
এমআই