মোঃ আবদুল্যাহ চৌধুরী, নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে দলটির একাংশের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে উপজেলার কবিরহাট বাজারে বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা এই বিক্ষোভ করে।এ সময় ধানের শীষের প্রার্থী ফখরুল ইসলামকে জামায়াতের প্রোডাক্ট দাবি করে তার মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে গণ-পদত্যাগের ঘোষণা দেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
গত ০৩ নভেম্বর নোয়াখালী-০৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রাথমিকভাবে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ফখরুল ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়। একই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ। গত কিছু দিন ধরে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে তার অনুসারীরা কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট উপজেলায় মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে আসছে।
বুধবার বিকেলে বজলুল করিম চৌধুরী আবেদকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে তার অনুসারীরা উপজেলার কবিরহাট সরকারি কলেজের সামনের সড়কে জড়ো হন। এরপর কাফনের কাপড় পরে বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পুনরায় একই স্থানে এসে বিক্ষোভ মিছিল শেষ করে। এ সময় বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে বয়কট করে আবেদকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তার অনুসারীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রাপ্ত ফখরুল ইসলাম তার হৃদয়ে বিএনপিকে ধারণ করেন না। তিনি ছদ্মবেশে বিএনপি'র রূপ ধারণ করেছেন। কার্যত তিনি জামায়াতে ইসলামীর প্রোডাক্ট। তার কার্যকলাপ আচার-আচরণ ও জামায়াত প্রীতি। যে কারণে তিনি নিজের অপকর্ম ঢাকতে গিয়ে আমাদের কেন্দ্রীয় অনেক শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে কটূক্তি করে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। সঙ্গত কারণে স্থানীয়ভাবে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে তিনি কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট উপজেলার নেতাকর্মীদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছেন। যদি ফখরুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল করা না হয় তবে আমরা আরও বৃহত্তর কর্মসূচি দেব। আগামীতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি দেব, তারপরেও যদি বিএনপির হাই কমান্ডের টনক না নড়ে তবে আমরা গণহারে পদত্যাগ করব।
বক্তারা অভিযোগ করেও বলেন, দলের পরিক্ষিত নেতাদের বাদ দিয়ে উড়ে এসে জুড়ে বসা ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়াতে এখানকার দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ ফখরুল ইসলামের দলীয় মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সোচ্চার। ফখরুল ইসলামের জামাত সম্পৃক্ততার কথা মানুষের মুখে মুখে। মানুষ চায়না তিনি জামাতরূপে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে দলীয় নেতাকর্মীদের ধোকা দিক। যে ব্যক্তি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুকসহ প্রয়াত নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদকে কটূক্তি করতে পারে সেই নেতা কারো জন্য নিরাপদ নয়। বিএনপিকে বাঁচাতে হলে, ধানের শীষকে বিজয়ী করতে হলে, অনতিবিলম্বে ফখরুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল করে তৃণমূলের গ্রহণযোগ্য যোগ্য নেতৃত্বেকে মনোনয়ন দিতে হবে। এ সময় নেতাকর্মীরা ফখরুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিলের জোর দাবি জানান।
এমআই