মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

মাদারগঞ্জে ভূমি অফিসে দালালের দৌরাত্ম্য, টাকা ছাড়া মিলে না ভূমি সেবা!

মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৫
মাদারগঞ্জে ভূমি অফিসে দালালের দৌরাত্ম্য, টাকা ছাড়া মিলে না ভূমি সেবা!

মোঃ ইমরান মাহমুদ, জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের মাদারগঞ্জে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজসে ভূমি অফিসে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে দালালদের দৌরাত্ম্য

ভূমি অফিস ঘিরে টাকার বিনিময়ে খারিজ করার অভিযোগ উঠেছে কড়ইচড়া ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. হানিফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। টাকা ছাড়া যেনো ফাইলই নড়ে না। এমন বিষয় নিয়ে ভুক্তভোগী মো. শাহিন মিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ভুয়া নামজারি সহজ হওয়ায় একজনের জমি অন্যজন নামজারি করে নিয়ে যাচ্ছে এতে হয়রানির শিকার হচ্ছে জমির প্রকৃত মালিক। এমনই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগীর তথ্য ও অভিযোগসূত্রে জানা যায়, মাদারগঞ্জ উপজেলার কড়ইচূড়া ইউনিয়নের চরগুজামানিকা মৌজায় মো. ছামিউল ইসলাম তার পৈত্রিক সম্পত্তির ৯শতাংশ জমি খারিজ করার জন্য ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যান। গিয়ে জানতে পারেন তার জমির খারিজ করা হয়ে গেছে। খারিজ করে নিয়েছেন মৃত আব্দুর রহমান মাস্টারের ছেলে মো. রবিউল ইসলাম, মেয়ে লুৎফুন নেছা, ও বিউটি বেগম।

ভূয়া নামজারিটি বাতিলের জন্য রেজাউল করিম, রফিকুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, ছামিউল ইসলাম, ফজলুল হক ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আবেদন করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মকর্তার পাশে বসেই কাজ করছেন মহিষবাথান এলাকার মোঃ সজিব মিয়া নামে এক ছেলে। সে অফিসের কোন স্টাফ না হলেও কম্পিউটারে বসে কাজ করে যাচ্ছেন।

অভিযোগ রয়েছে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা এই সজীবের মাধ্যমেই দালালদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা লেনদেন করেন। এ যেন এক ঘুষের রাজত্বে পরিণত ইউনিয়ন ভূমি অফিস।

এ সব অভিযোগের বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোঃ হানিফ উদ্দিন।

ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান, নায়েব সাহেব আমাদের বারিতে আসছিলো। খারিজ যা হয়ে গেছে। আমাদের জমি মমিনুন্নেছা, রবিউলের নামে খারিজ করে দিছে। তারা বলছে খারিজ এটা সংশোধন করবে। সংশোধন করছে না। এখন নায়েবে টাকা চায়। টাকা দিলে খারিজ ভাঙ্গবে।

শাহিন মিয়া নামে আরেকজন ভুক্তভোগী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবত ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ঘুরছি বিষয়টি নিয়ে। ভূমি কর্মকর্তা আমার সাথে এ বিষয় নিয়ে খারাপ আচরণও করেছে। এছাড়াও এসিল্যান্ড অফিসে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। এখন পর্যন্ত কোন প্রতিকার পাইনি।

মাদারগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসেল দিও বলেন, অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে তাদেরকে আমার কাছে পাঠিয়ে দেন। আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখবো।

এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৫ সময় জার্নাল