নিজস্ব প্রতিবেদক:
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদিকে শেষ বিদায়ে বিদায় জানাল লাখো মানুষ। কান্না, শোক আর শ্রদ্ধায় ভারী হয়ে ওঠে রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও আশপাশের এলাকা।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর দুইটা ২৫ মিনিটে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন শহীদ হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক। এতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ধর্ম উপদেষ্টা, জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান, বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদসহ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, সহযোদ্ধা ও সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।
জানাজাকে কেন্দ্র করে দুপুরের আগেই জনসমুদ্রে পরিণত হয় দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ। বিপুল মুসল্লির চাপে নির্ধারিত স্থানে জায়গা না পেয়ে অনেকেই সড়কে কাতারবন্দি হয়ে জোহরের নামাজ আদায় করেন। ফুটপাত, খোলা মাঠ—সবখানেই ছিল মানুষের ঢল।
এর আগে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে শহীদ ওসমান হাদির মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে। পরে মরদেহ নেওয়া হয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে। সেখানে গোসল শেষে সহযোদ্ধা ও সমর্থকদের অংশগ্রহণে শোকমিছিলসহ মরদেহ আনা হয় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ হয়ে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়।
শোকাহত জনতার কণ্ঠে ভেসে ওঠে শহীদ হাদির সংগ্রাম ও ত্যাগের স্মৃতি। লাখো মানুষের উপস্থিতিতে শেষ বিদায়ে স্পষ্ট হয়ে ওঠে—তিনি কেবল একজন নেতা নন, একটি আন্দোলনের প্রতীক।
এমআই