বিনোদন ডেস্ক : ফরিদা ফারহানা, একজন প্রতিশ্রুতিশীল গীতিকবি। ২০০২ সাল থেকেই গান লেখেন। ২০১০ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং ২০২০ সালে বাংলাদেশ বেতারে গীতিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন তিনি। কিন্তু তার গানে শিল্পীদের কণ্ঠ দেওয়া শুরু হয় ২০১১ সাল থেকে।
‘মেঘে ঢাকা রোদ্দুর’ শিরোনামের প্রথম রেকর্ড হওয়া গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন ক্ষুদে গানরাজের শিল্পী আরশী জোয়াদ্দার। সুর করেছিলেন বেলাল খান এবং সংগীতায়োজনে ছিলেন এফএ সুমন।
গানটি শ্রোতাদের কাছে সাড়া জাগিয়েছিল।
২০১৬ সালে ফরিদা ফারহানার লেখা এবং ফরিদ আহমেদের সুর ও সংগীতে ‘প্রেমের গল্প’ নামের গানটিতে কণ্ঠ দেন আসিফ আকবর ও পলি সায়ন্তনী। গানটি ইউটিউবে তখন ২৭ লাখ দর্শক-শ্রোতা উপভোগ করেছিলেন।
বলা যায়, এ গানের জন্যই সংগীতাঙ্গনে গীতিকার হিসেবে পরিচিতি পান তিনি। একই সময়ে ‘পহেলা বৈশাখে’ শিরোনামে ফরিদা ফারহানার লেখা গানে কণ্ঠ দেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী রোমানা ইসলাম। এটির সুর ও সংগীতায়োজন করেন যথারীতি ফরিদ আহমেদ।
অ্যালবামের পাশাপাশি নাটকের জন্যও গান লিখেছেন এই গীতিকবি। জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী প্রতীক হাসান তার লেখা ‘নানা রঙের মানুষ’ শিরোনামের নাটকের একটি গানে কণ্ঠ দেন। এই গানটিও বেশ আলোচনায় ছিল শ্রোতাদের কাছে।
এভাবে ধীরে ধীরে গানের ভুবনে বিকশিত হতে থাকেন ফরিদা ফারহানা। সেই ধারাবাহিকতায় প্রথমবার দুটি দেশের গান লিখেছেন। ‘লক্ষ কোটি প্রাণের দাম’ ও ‘স্বাধীনতা মানে’ গান দুটি বাংলাদেশ বেতারে প্রচারের জন্য তৈরি করেছেন গীতিকার। শিগগিরই এটি রেকডিংয়ের পর প্রচার হবে।
এ প্রসঙ্গে ফরিদা ফারহানা বলেন, ‘দেশের গান লেখার চেষ্টা করি অনেক আগে থেকেই। সম্প্রতি দুটি গান লিখে বেতারে জমা দিলে তারা পছন্দ করেন। গান দুটি রেকর্ড করা এবং প্রচারের জন্য তৈরি হচ্ছে বলে বেতার কর্তৃপক্ষ আমাকে জানিয়েছে।
গান দুটি খুব সহজভাবেই লেখার চেষ্টা করেছি। আশা করছি শ্রোতাদের ভালো লাগবে।’ গান লেখার পাশাপাশি একজন কবি হিসেবে পরিচিত তিনি।
সময় জার্নাল/আরইউ