সময় জার্নাল প্রতিবেদক : ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনির বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যরা। বুধবার বিকেল ৪টার দিকে তার বাসায় অভিযান শুরু হয়। অভিযানে অংশ নিয়েছে র্যাব-১ ও র্যাব সদর দপ্তরের একাধিক টিম।
পরিমনির বাসায় র্যাবের অভিযানের খবর পেয়ে আশেপাশের সড়কে জড়ো হয়েছেন হাজারো মানুষ। এ কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা মহানগর পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে রয়েছেন। তারা সড়কে থাকা মানুষদের সরিয়ে দেওয়ার কাজটি করছেন। বিকেল ৫টা ২০ মিনিট পর্যন্ত আটক পরিমনিকে বাসা থেকে বের করা হয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পরীমনিকে আটকের খবর পেয়ে তার বাসার সামনে ভিড় জমিয়েছে হাজারো মানুষ। করোনা পরিস্থিতিতে এমন উৎসুক জনতার ভিড় ঠেকাতে পরীমনির বাসার সামনে মাইকিং করছেন বনানী সোসাইটি।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বনানী সোসাইটির ম্যানেজার সৈয়দ মোস্তাক উদ্দিন হ্যান্ড মাইক হাতে নিয়ে প্রচার করতে থাকেন। তিনি উৎসুক জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘উপস্থিত সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে। আপনারা অযথা ভিড় করবেন না। সকলে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখুন। ’
তিনি আরও বলেন, ‘ভয়াবহ করোনা পরিস্তিতে দয়া করে সকলে সর্তক থাকুন। সাংবাদিক ভাইয়েরা ছাড়া অন্য সকল সাধারণ মানুষ দয়া করে এখান থেকে চলে যান।’
এ সময় পুলিশ ও স্থানীয় নিরাপত্তা কর্মীদের বার বার সাধারণ মানুষকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে দেখা গেছে। কিন্তু শত অনুরোধের ফলেও সরছে না এসব সাধারণ মানুষেরা।
র্যাবের বেশির ভাগ সদস্য পরীমনির বাসার নিচে গ্যারেজে অপেক্ষা করছেন। বাসার মূল ফটক লাগিয়ে দিয়ে ভেতর থেকে বাইরে বা বাইরে থেকে ভেতরে কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
এর আগে ফেসবুক লাইভে এসে পরীমনি বলেন, ‘কারা যেন আমার বাসায় ঢোকার চেষ্টা করছে। কেউ কালো কাপড় পরে আছেন, কেউ রঙিন কাপড় পরে আছেন। এরা কারা ভাই? আমি লাইভ কাটছি না।’ পরীমনি বলেন, ‘পুলিশ হলে তো দরজা খুলেই দেব। কিন্তু তারা তো পরিচয় দিচ্ছে না। মেরে ফেললে সবার সামনে মেরে ফেলে যাক। আমি লাইভ কাটব না। সবাই দেখুক। সবাইকে দেখায় দেব, এরা কী কী করে।’
এ সময় পরীর বাসার দরজা ধাক্কার শব্দ পাওয়া যায়। পরীমনি বলেন, ‘ভাই আপনারা কিছু দেখতেসেন না, কিছু বলতেসেন না। আমি যে কী পরিমাণ সিক। তিন দিন ধরে বিছানা থেকে উঠতে পারছি না। আমার পরিচিতরা কী আসবেন? একটু দেখবেন, এরা কারা। লিটারেলি আমার দরজা ভাঙচুর করতেসে।’
পরীমনি দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় রয়েছেন। কিছুদিন আগে ঢাকার সাভারের বোটক্লাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অভিযোগ করে আলোচনায় আসেন তিনি। সে ঘটনায় কয়েকজন গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন, তারা আবার জামিনও পেয়ে গেছেন। এর মধ্যেই আবার একাধিক ক্লাবে পরীমনির ভাঙচুরের অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্টরা।
সম্প্রতি রাজধানী থেকে পিয়াসা ও মৌ নামে দুই মডেল গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাদের বাসায় বিপুল মদ ও ইয়াবা পাওয়া গেছে।
সময় জার্নাল/এসএ