পরীমনি ও সামাজিক হিংসাত্মক নৈরাজ্য

ইমরান মাহফুজ :

আচ্ছা, এই সমাজ নিয়ে আমার একটা প্রশ্ন- মানুষ কি বিপদে পড়লে বন্ধুবান্ধব থাকে না পাশে, না বন্ধুবান্ধব হীন হলে বিপদ নিকটে আসে ?

পরীমনিদের কি কোন শুভাকাঙ্ক্ষী স্বজন নাই, ছিল না। যারা তাকে জীবনের সমীকরণ বুঝিয়ে সঠিক পথের নির্দেশনা দিবে। কত সুন্দর জীবন কি করলো তারা... মা বাবা ছাড়া একজন মানুষের জীবন কতটা কঠিন কেউ কেউ জানে। যদিও মানুষ চিরকাল অসম্ভব অসহায়...

চারদিকে নানান সমস্যায় মানুষ। কারো মার অসুখ, কারো ছেলে কারো মেয়ে। কেউ অক্সিজেন পাচ্ছেন না, কেউ টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। কেউ চাকরি হারিয়ে হতাশ৷ কেউ পড়াশোনা শেষ করে বাড়িতে হাহাকার করছে।

এইভাবে ঘরে বাহিরে জানা অজানায় বহুমাত্রিক সংকটে রাষ্ট্র। রাষ্ট্রের পঞ্চাশ বছরেও মৌলিক অধিকার পায়নি মানুষ। করোনা আক্রান্ত দেশে শিক্ষা ও চিকিৎসার বেহাল দশা পানির মতো পরিস্কার। তা নিয়ে আলাপ আলোচনা বাদ দিয়ে আমরা ও রাষ্ট্র কি নিয়ে মেতে আছে? অহেতুক আলাপে বিব্রতবোধ হয় না কেউ? কেউ নেই কোথাও..

নায়িকা মডেলদের জীবন যাপনের কৌশল এতটা বেমামান হলে তারা এতো দিন কীভাবে চলছেন? তাদের কেউ দেখেনি। কাদের ছত্রছায়ায় টিকে ছিল তারা। আউট অফ সিলেবাসের প্রশ্ন উত্তর কেউ না দিলেও বিনোদনের উপকরণ হিসেবে বেশ মজাদার! খুব বিপদজনক সময় আসছে খুব...

পৈশাচিক কর্মকাণ্ড কাউকে সুখি করে না৷ আজ আমার কাল আপনার। এইভাবে অন্যের অসুখে হাসি তামাশা ঠাট্টা এক ধরনের অসুস্থতা। অদ্ভুত বেদনার বিষয় : কেবলমাত্র মানুষ ই মানুষের ক্ষতি করে আনন্দ পায়। অন্যের ক্ষতি করে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব দেখায়। পশু পাখিদের জীবন দেখে না কেউ!

মনে রাখবেন সুখী হতে হলে আয়না দেখুন। ভালো থাকতে চাইলে নিজের প্রতি যত্নশীল হউন। জীবন ছোট, কেউ কারো না। একটু পা পিছলে পড়ে দেখুন, মানুষ হাসাহাসি শুরু করে দিবে! ধরবে না, চলতি পথে পিপাসায় মরবেন খুব দ্রুত...

(কবি ও নারীর কোন বন্ধু থাকে না। পাশে থাকে একদল কাক কুকুর। ব্যবহার করলে হারিয়ে যায় তাদের আকুলতা)

লেখক : ইমরান মাহফুজ

কবি ও গবেষক।

৬ আগষ্ট ২০২১