আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির সংখ্যা কমেছে। সবশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮২৮ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৩ লাখ ৫৮ হাজার ১৬৮ জনে। গতকাল মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ৬৮ জন।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ হাজার ৩২৭ জন। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ কোটি ৬৯ লাখ ৫৫ হাজার ৬০৯ জনে। গতকাল আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭ লাখ ১৯ হাজার ২০৪ জন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটার থেকে শনিবার (১৪ আগস্ট) সকালে এই তথ্য জানা গেছে।
ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৬৪ হাজার ৭০০ জন আর ৬ লাখ ৩৭ হাজার ১৬১ জন মারা গেছেন।
করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ২১ লাখ ৫৫ হাজার ৮২৭ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৩০ হাজার ৭৬২জন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ২ কোটি ৩ লাখ ১৯ হাজার এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৯১৪ জনের।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৬৪ লাখ ২৫ হাজার ৪৩৬ জন, রাশিয়ায় ৬৫ লাখ ৫৭ হাজার ৬৮ জন, যুক্তরাজ্যে ৬২ লাখ ১১ হাজার ৮৬৮ জন, ইতালিতে ৪৪ লাখ ২৭ হাজার ৮২৭ জন, তুরস্কে ৬০ লাখ ৩৯ হাজার ৮৫৭ জন, স্পেনে ৪৬ লাখ ৯৩ হাজার ৫৪০ জন, জার্মানিতে ৩৮ লাখ ১৯ হাজার ৮৪৫ জন এবং মেক্সিকোতে ৩০ লাখ ৪৫ হাজার ৫৭১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১২ হাজার ৫৬১ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৬৮ হাজার ৮৬৪ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ৩০ হাজার ৮০১ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৮ হাজার ৩৭৯ জন, তুরস্কে ৫২ হাজার ৮৬০ জন, স্পেনে ৮২ হাজার ৪৭০ জন, জার্মানিতে ৯২ হাজার ৩৬৭ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৮১১ জন মারা গেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত বছরের ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
সময় জার্নাল/আরইউ