মো. মাইদুল ইসলাম: খতমে কোরআন, পুষ্পস্তবক অর্পণ, ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে গভীর শোক ও শ্রদ্ধার সাথে জাতীয় শোক দিবস-২০২১ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত হয়েছে রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজে।
আজ জাতীয় শোক দিবস, বাঙালির শোকের দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী। বাংলাদেশ ও বাঙালির বিভিন্ন ঐতিহাসিক দিবসের প্রায় সবই অর্জনের, গৌরবের; কিন্তু জাতীয় শোক দিবস হারানোর দিন, কলঙ্কের দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে ইতিহাসের বর্বরোচিত ও মর্মান্তিক হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে সপরিবারে হত্যা করা হয় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠতম বাঙালি ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে। বাঙালি হারায় তার আরাধ্য পুরুষ ও ইতিহাসের মহানায়ককে।
সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণ এবং খতমে কোরআন এর মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবস পালন শুরু হয় সরকারি তিতুমীর কলেজে। এরপর কলেজের পক্ষ থেকে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং কলেজ প্রাঙ্গণে অধ্যক্ষ মহোদয় কর্তৃক জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় কলেজের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া সকাল ১১ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত কলেজ প্রশাসনের উদ্যোগে ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সালমা বেগম ও সহকারী অধ্যাপক মো. গালিব হোসেন এর সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেণ তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: আশরাফ হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক তালাত সুলতানা, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক এস.এম. কামাল উদ্দিন হায়দার প্রমুখসহ বিভাগীয় প্রধানগণ।
ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ, মুজিব বর্ষের থিমসং পরিবেশন, সঙ্গীত পরিবেশন, কবিতা আবৃত্তি, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন সহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়।
আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রফেসর মোঃ ময়েজ উদ্দিন। ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কলেজের সকল শিক্ষক, বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিগণ।
আলোচনা সভায় অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আশরাফ হোসন শোকাবহ মাস আগস্টের বর্ণনা করে বলেন, ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম ও কলঙ্কজনক অধ্যায়ে স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ঘাতকচক্র ও হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সবাইকে শাস্তির আওতায় আনা হোক। তিনি আরও বলেন বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে ১৫ আগস্টের এই শোক দিবসে আমাদের প্রত্যয় হোক, এই শোককে শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় উদার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত দেশ প্রতিষ্ঠার।
অনুষ্ঠানের শেষে পনেরো আগস্টের সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল করা হয়।
এছাড়াও যোহরের নামাজের পর তিতুমীর কলেজের মসজিদে মিলাদ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
সময় জার্নাল/এমআই
